বিজ্ঞাপন

রূপগঞ্জে হত্যার ঘটনা অনভিপ্রেত: গোলাম দস্তগীর গাজী

February 8, 2018 | 10:47 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট 

বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জ: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায়ের দিনটিতে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে এলাকায় অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে  সুমন নামে এক যুবক নিহত হন। বেলা ১২টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন সেতুর পশ্চিমপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই  সুমনের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি রূপগঞ্জে।

পরে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে  রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সম্মেলনে গোলাম দস্তগীর গাজী  বলেন, ‘হত্যার এই ঘটনা অনভিপ্রেত। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’  তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না। থাকলে হয়তো এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটতে পারত না।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, ‘আমাদের ১০টি স্পটের মধ্যে কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিম পাশে একটি। হঠাৎ গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জানতে পারি, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের নেতৃত্বে তার লোকজন কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিম পাশে স্পট নির্ধারণ করেছেন। এমন বিষয় জানার পরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বলি যে, আমাদের পূর্বনির্ধারিত কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিম পাশের স্পটে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নিতে হবে। সকাল থেকেই হাজার হাজার নেতা-কর্মী আমাদের স্পটে উপস্থিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেন।’

তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে রফিক চেয়ারম্যানের লোকজন লাঠি মিছিল নিয়ে আমাদের অবস্থানের দিকে ধেয়ে অগ্রসর হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা টিয়ারসেল ও লাঠি চার্জ করেন। এই সময়ে রফিক চেয়ারম্যানের ৪ থেকে ৫ জন গানম্যান ও তার লোকজনরা আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কাছে থেকে শর্টগান ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী সুমন নিহত হন। যুবলীগ নেতা জয়নাল, শামীম, জুয়েল, আমীর হোসেন, কালাম, তারেকসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।’

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো.বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত সুমনের  হাতে ও বুকে পিস্তলের  কয়েকটি গুলি লেগেছে। আহত কামাল ও জয়নালের চিকিৎসা চলছে। তারা শঙ্কামুক্ত।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ঘটনার বর্ণনায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র  করে দুই পক্ষের লোকজন কাঞ্চন সেতু এলাকায় অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় উভয় পক্ষের ২৫ জনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠপেটা ও শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ২০ জনকে আটক করা হয়। বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

সারাবাংলা/এসআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন