বিজ্ঞাপন

অভিজিৎ হত্যা মামলায় বাবার সাক্ষ্যগ্রহণ

October 29, 2019 | 12:45 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তার বাবা অধ্যাপক ড. অজয় কুমার রায়। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধানসহ ছয় জঙ্গির বিরুদ্ধে এই মামলা চলছে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেসমিন আরার আদালতে সাক্ষ্য দেন ড. অজয় রায়। এদিন মাসুদুর রহমান নামে আরও একজন সাক্ষ্য দেন আদালতে। সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামী ১৮ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যের তারিখ নির্ধারণ করেন।

আদালতে জবানবন্দিতে অজয় রায় বলেন, ২০১৫ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ থেকে সাড়ে ৮টার দিকে আমার বড় ছেলে অভিজিৎ রায়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যের একটু সামনে আসামিরা চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। ওকে বাঁচানোর জন্য তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা চেষ্টা করে। সেখানে তাকেও আঘাত করা হয়। আঘাতের কারণে তার নিজের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কাটা পড়ে। এরপর আমরা খবর শুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যাই। সেখানে যাওয়ার পর অভিজিৎ মারা যায়।

অজয় রায় বলেন, অভিজিতের স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর একদিন পরই শাহবাগ থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করি।

বিজ্ঞাপন

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন ড. অজয় কুমার রায়কে।

এই মামলায় অভিযুক্ত ছয় আসামি হলেন— আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সাবেক মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস), শফিউর রহমান ফারাবি ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ।

এর আগে গত ১ আগস্ট ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ছয় আসামির মধ্যে মেজর জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক। বাকি চার আসামিকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

বিজ্ঞাপন

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন