বিজ্ঞাপন

জুম্ম জাতির শোক দিবস: পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের আহ্বান

November 10, 2019 | 6:29 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: পার্বত্য এলাকায় চলমান ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত ও হানাহানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, হানাহানি ও ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জুম্ম জাতিকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে। জুম্ম জাতিকে এগিয়ে নিতে সব পক্ষের এসব হানাহানি বন্ধ করতে হবে।

রোববার (১০ নভেম্বর) মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এম এন লারমা) ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জুম্ম জাতির শোক দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। এম এন লারমা ছিলেন জেএসএসের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি জেএসএস সভাপতি ও অঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার বড় ভাই।

বিজ্ঞাপন

এম এন লারমার স্মরণসভায় ঊষাতন তালুকদার বলেন, পাহাড়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের কারণেই এমএন লারমাকে বিভেদপন্থীরা হত্যা করেছে। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে জুম্মরা আন্দোলন করে যাচ্ছে। এর মানে এই নয়, আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছি। পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়, নিরাপদে থাকতে চায়। অথচ পাহাড়ের মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এমএন লারমার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকালে প্রভাত ফেরি বের করা হয়। প্রভাত ফেরিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়। প্রভাত ফেরি শেষে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে একই স্থানে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সদস্য নিকোলাই পাংখোয়া। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঊষাতন তালুকদার। অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন— পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, শিক্ষাবিদ মংসানু চৌধুরী, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুমন মারমা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার ভগবানটিলা এলাকায় একদল বিভেদপন্থীর হাতে আট সহযোদ্ধাসহ নিহত হন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। তিনি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত প্রথম সংসদ সদস্য। ১৯৭২ সালের ৭ মার্চ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তার নেতৃত্বে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সালের ৭ জানুয়ারি গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সংগঠন ‘শান্তি বাহিনী’।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন