বিজ্ঞাপন

‘ছাত্রদের সন্তুষ্টির জন্য এ রায়’

December 1, 2019 | 6:50 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল করিম রাজীব ও দিয়া খানম মিম নিহতের মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে বোরবার (১ ডিসেম্বর) আদালতের দেওয়া এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। একইসঙ্গে তারা উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের চালক মাসুম বিল্লাহ ও মো. জুবায়ের সুমন এবং বাসের হেলপার মো. আসাদ কাজী। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আসাদ কাজী পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বাসমালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও চালকের সহকারী মো. এনায়েত হোসেন।

বিকেলে রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাসচালক মাসুম বিল্লার আইনজীবী হাসিম উদ্দিন বলেন, ‘রায়ে আমরা অবশ্যই অসন্তুষ্ট। ছাত্র আন্দোলনের কারণে তাদের সন্তুষ্ট করতে আদালত এ রায় দিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় কোন চাক্ষুস স্বাক্ষী পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ের কাগজ পেলে বিষয়গুলো বুঝতে পারব। আমরা উচ্চ আদালতে যাব, আশা করছি উচ্চ আদালতে আমরা ন্যয় বিচার পাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই বাসস্ট্যান্ড থাকার ফ্লাইওভারের গোড়ায় ছাত্ররা জোর করে বাস থামাতো। সেদিনও সম্ভবত এমন কিছু ঘটেছিল, যেখানে বাসের ড্রাইভার কোনভাবেই দায়ী নয়।’

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আরেক বাসের চালক জুবায়ের সুমনের আইনজীবী টি এম আসাদুল হক বলেন, ‘আমরা ন্যয়বিচার পাইনি, অবশ্যই আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সাক্ষ্য প্রমাণে বলা হয়েছে, জুবায়ের সুমনের গাড়িটি চলমান ছিল। পেছন থেকে অন্য একটি গাড়ি তার গাড়িকে ধাক্কা দেয়। তার গাড়ি দ্বারা কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আসামিকে যাবজ্জীবন দিতে হলে মৃত্যুর কারণ প্রমাণ করতে হয়। কিন্তু সুমনের গাড়ির মাধ্যমে কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আরেক বাসমালিক শাহাদাৎ হোসেনের মামলা উচ্চ আদালতের স্টে অর্ডার থাকায় তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিচারক।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে একই পরিবহনের দ্রুতগতির আরেকটি বাস সামনের বাসটিকে ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাসটির চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া খানম। এ সময় আহত হন আরও নয়জন। ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম একটি মামলা দায়ের করেন।

২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ২২ অক্টোবর চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। এরপর ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন