বিজ্ঞাপন

স্বাধীন না হলে ইতিহাস-ঐতিহ্য কিছুই থাকত না: গোলাম দস্তগীর গাজী

December 20, 2019 | 8:49 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে দেশের সংস্কৃতি-ইতিহাস-ঐতিহ্য কিছুই থাকত না। আর বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠানে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বেনুকা ললিতকলা কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ যে কারণে স্বাধীন হয়েছে, সেই লক্ষ্য ঠিক রেখে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেরণা দিয়েছেন, তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দেশ স্বাধীন না হলে এই জায়গায় বসে আমরা এত সুন্দর অনুষ্ঠান করতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। আমরা ৪০ জন ছিলাম ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য। মে এর শেষের দিকে আমরা ঢাকায় চলে আসি। আমরা হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আক্রমণ করি।’

বিজ্ঞাপন

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘ইন্টারকন্টিনেন্টালে পাকিস্তানের দূত ছিল, পাকিস্তানকে সহায়তা করার জন্য তারা এসেছিল। আমরা হোটেলে প্রথম অভিযানে সফল হই। এরপর দ্বিতীয়বার আমরা একই হোটেল বার্স্ট করি। এছাড়া ঢাকায় আমরা পাঁচটি পাওয়ার স্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। দুটিতে পুরোপুরি সফল হই, একটিতে আংশিক সফলতা আসে। আর দুটো করতে পারিনি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বালু নদীর ওপারে ক্র্যাক প্লাটুন সদস্যদের অবস্থান ছিল। এই সময় ইন্ডিয়ান আর্মি আসে। তাদের গোলাবারুদ আমরা কাঁধে বয়ে বেড়াতাম। ইন্ডিয়ান আর্মির পক্ষ থেকে বলা হয়, যদি পাকিস্তান আর্মি আত্মসমর্পণ না করে তারা শিগগিরই ঢাকা অ্যাটাক করবেন। তারা আমাদের বলে তোমাদের কোনো আত্মীয়-স্বজন ঢাকায় থাকলে তাদের ঢাকা ছেড়ে দিতে বলো। কারণ কে বাঁচে, কে মরে জানা নেই। আমরা খবর পাঠালাম। বালু নদী ক্রস করে স্বজনরা ঢাকা ছেড়ে গেল। এটি ১৬ ডিসেম্বরের দুই-তিনদিন আগের কথা।’

যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে রণাঙ্গনের এই ‍মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘বালু নদীর ওপারে ইন্ডিয়ান আর্মির ৩০টা হেলিকপ্টার এসে নামে। আমরা অপেক্ষা করলাম। হঠাৎ করে দেখলাম ইন্ডিয়ান আর্মিরা গুলি ফুটিয়ে উচ্ছ্বাস করছে। তাদের কাছে গিয়ে জানতে পারলাম ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। এই খবর জানার পর আমরা ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রবেশ করি।’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘এই হলো স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস। হাজার হাজার মানুষ দেশকে স্বাধীন করতে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। যেখানেই গেছি, আমরা সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। দেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

সারাবাংলা/একে

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন