বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার, অভিভাবকদের ক্ষোভ

January 12, 2020 | 10:09 am

এমদাদুল ইসলাম ভূট্টো, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঠাকুরগাঁও: ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে শৌচাগার পরিষ্কার করানো এবং বাসন ধুয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের দক্ষিণ আরাজী কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

এ কথা চাউর হওয়ার পরে অভিভাবকদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলে, ‘ম্যামরা বলেন, টয়লেট পরিষ্কার করে দিলে পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেওয়া হবে। এই কথা বলে প্রতিদিন টয়লেট পরিষ্কার করিয়ে নেন। ম্যামরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসেন, দুপুরে খাওয়ার পরে আমাদের কাছ থেকে বাসন ধুয়ে নেন।’

নাম গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন অভিযোগ করেন, পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেওয়ার কথা বলে স্কুলের টয়লেট পরিষ্কার করিয়ে নেওয়া, শিক্ষকের থালা-বাসন ধুয়ে নেওয়া অমানবিক এবং দুঃখজনক। আমাদের সন্তানদের কি এসব করতে স্কুলে পাঠাই? এগুলো কাজের জন্য প্রয়োজনে লোক নিয়োগ দেবে।

বিজ্ঞাপন

তারা বলেন, শিক্ষকদের উদাসীনতা আর অবহেলার কারণে বাচ্চাদের ফলাফল আশানুরূপ ভালো হচ্ছে না।

সূত্র জানায়, সদর উপজেলার দক্ষিণ আরাজী কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ২০৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। গত বছরের বার্ষিক পরীক্ষায় কেবল প্রথম ও পঞ্চম শ্রেণিতে শতভাগ পাসের হার রয়েছে। এই দুই শ্রেণির ৬৬ জন শিক্ষার্থী সব বিষয়ে পাস করেছে।

এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণির ৪৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ১৭ জন। চতুর্থ শ্রেণির ৪৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন এবং তৃতীয় শ্রেণির ৪৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন অকৃতকার্য হয়েছে। অর্থাৎ অকৃতকার্যের হার ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

এবার শিক্ষার্থীদের ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শামসুন নাহার অভিভাবকদের দায়ী করেন। শামসুন নাহার বলেন, অভিভাবকরা অসচেতন, যে কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট ভালো হচ্ছে না।

শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করানো বিষয়ে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কীভাবে টয়লেট পরিষ্কার করতে হয় শিশুদের তা শেখানো হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুনা লায়লা সারাবাংলাকে বলেন, পুরো বিষয় জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এটি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন