বিজ্ঞাপন

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নির্মাতাদের নিয়ে ‘ওয়েস্ট মিটস ইস্ট’

January 15, 2020 | 3:28 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

দিন শেষে চলচ্চিত্র নির্মাণ একটি ব্যায়বহুল শিল্প, কাজেই কিভাবে ছবির বিনিয়োগ তুলে আনা যায়, সেই প্রক্রিয়াটি আগেই ঠিক করে নিতে হবে- এমন মন্তব্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক আবু শাহেদ ইমনের। অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ হিসেবে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জ আয়োজিত দেশীয় নির্মাতাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের ভাবনার মিথস্ক্রিয়ামূলক ‘ওয়েস্ট মিটস ইস্ট’ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

দিনব্যাপী এই সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন, বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান ডেলিগেটস মীনাক্ষী সিন্ধে, বুশান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রোগ্রামার সু-লি, রাশিয়া, নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশের উৎসব সংশ্লিষ্টরা।

সম্মেলনের শুরুতে চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কৌশলসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন মীনাক্ষী সিন্ধে। পরে আবু শাহেদ ইমনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সংশ্লিষ্টরা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেন চলচ্চিত্র উৎসব থেকে কিভাবে বিনিয়োগ ফিরে পাওয়া সম্ভব এবং সেক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক উৎসবগুলো অঞ্চলভেদে আলাদা। যেমন- উইরোপের উৎসবগুলো যে বিষয়ে গুরত্ব দিয়ে থাকে, এশিয়ার উৎসবগুলো হয়তো সেই বিষয়গুলোকে গুরত্ব দেয় না। আবার আমেরিকান উৎসবগুলোর ফোকাস পয়েন্ট আলাদা। সুতরাং ছবি বানানোর আগেই নির্মাতা বা সংশ্লিষ্টদের ঠিক করে নিতে হবে কোথায় ছবিটি দেখাবেন বা কোন উৎসবে যাবে। আবার উৎসব বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে বলে জানান তারা। কেননা সব উৎসবের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর যোগাযোগ একরকম নয়। উদাহরণ হিসেবে মীনাক্ষী বলেন, এশিয়ার একমাত্র বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের সেরা ছবিগুলো কান চলচ্চিত্র উৎসবের ফোকাসে থাকে।’

পরবর্তীতে আলোচনা হয় স্বাধীন চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ ও তা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে। আলোচকরা বলেন, চলচ্চিত্র উৎসবগুলো কেবল প্রদর্শনের জন্য ভালো প্লাটফর্ম কিন্তু সেখান থেকে তেমন অর্থিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় না। তবে, উৎসবগুলো গুরত্বপূর্ণ কারণ, এখানে প্রযোজক এবং পরিবেশকদের আনাগোনা থাকে। তাছাড়া, বিভিন্ন ফিল্মবাজারে সরাসরি প্রতিযোগিতার মাধ্যমেও ফান্ড পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে, প্রতিযোগিতার জন্য প্রজেক্ট তৈরির ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট উৎসব ও ফিল্মবাজারগুলো কি ধরনের শর্ত দিয়ে থাকে বা কোন কোন বিভাগে চলচ্চিত্র বাছাই করে থাকে তা সতর্কতার সঙ্গে দেখে সেই অনুযায়ী প্রজেক্ট তৈরি করতে হবে। এই প্রতিযোগিতা খুবই কঠিন উল্লেখ করে আলোচকরা বলেন, নির্মাতাকে প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি হতে হবে এবং অবশ্যই ভালো ও যৌক্তিক গল্প বলতে হবে যা যে কোনো প্রতিযোগিতার শর্ত পূরণ করতে পারে এবং বৈশ্বিক বাজারে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ শ্লোগান নিয়ে ১১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীতে চলছে অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০২০’র। ৯ দিন ব্যাপী এই বৃহৎ উৎসবে বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশের মোট দুইশ’ ২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এই উৎসব চলবে আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো ২য় ‘ওয়েস্ট মিটস ইস্ট’ সম্মেলন।

সারাবাংলা/এএসজি/পিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন