বিজ্ঞাপন

চবিতে ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ ফের শিথিল

January 26, 2020 | 7:42 pm

চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ ফের শিথিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ দফা দাবির মধ্যে তিন দফা দাবি পূরণের কথাও জানিয়েছেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াসের অনুসারীরা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান তারা। মো. ইলিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ‘বিজয়’ গ্রুপের নেতা হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমাদের কিছু দাবি আংশিক পূর্ণ হয়েছে। এবং কিছু দাবি আংশিক পূর্ণ হয়নি। বাকি দুই দাবি প্রশাসনিক কাজের জন্য সময় চেয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে। তাই আমরা আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) পর্যন্ত ফের অবরোধ শিথিল করেছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আমরা ফের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। এছাড়াও সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের বিরুদ্ধে আহত রোগীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগের কথাও জানান তারা।

এই বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তাদের যে যে দাবি আছে আমরা সহানুভূতির সঙ্গে পূরণ করতেছি। তাদের বুঝিয়ে বলছি।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত বুধবার থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বিকেল ৪টার দিকে ৪০০ মিটার দৌড়ের ট্র্যাকে দাঁড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটির পর বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা আজাদ নামে এক ছাত্রকে মারধর করে। আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপের কর্মী।

এই ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে সিএফসি নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর মারধর করেন। এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সিএফসি আমানত হলে ও বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নেয়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতির বহিষ্কার ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত রাত ৯টার দিকে বিজয় গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধের ডাক দেন।

বিবাদমান সিএফসি ও বিজয় দুটি গ্রুপই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহ আমানত হল ও সোহরাওয়ার্দী হল থেকে ছাত্রলীগের দু্ই গ্রুপের সংঘর্ষের পর দুটি হল থেকে সন্দেহজনক হিসেবে অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ। এদের মধ্যে চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ১২ জন ও বিজয় গ্রুপের ৮ নেতাকর্মী রয়েছেন।

এরপর বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ প্রশাসনের আশ্বাসে সাময়িকভাবে শিথিল করা হয়। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল- বুধবারের ঘটনা ও এর আগের সব ঘটনার নির্দেশদাতা সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও তার অনুসারীদের গ্রেফতার, রেজাউল হক রুবেলকে বহিস্কার করতে চবি প্রশাসনকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবগত করা, বিজয় পরিবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা, বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে আটক আট জনের নিঃশর্ত মুক্তি এবং আহত কর্মীদের সুচিকিৎসা ও সার্বিক সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিশ্চিত করা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/সিসি/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন