বিজ্ঞাপন

শতক হাঁকিয়েও মৌন তামিম

March 3, 2020 | 4:26 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সিলেট থেকে: বিশ্বকাপ থেকেই তামিম ইকবালের ব্যাটিং প্রশ্নবিদ্ধ। শ্লথ গতিতে ব্যাটিং করছেন, পাওয়ার প্লেতে ডট বল খেলে দলকে বিস্তর চাপের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন, স্ট্রাইক রেট ভালো নয়, ব্যাটিং গড়ও তথৈবচ। আরো কত শত অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। দিন যত যাচ্ছিলো ততই যেন তামিম সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠছিল দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো। অবশেষে সেঞ্চুরি দিয়ে নিন্দুকের মুখে কুলুপ এটে দিলেন দেশ সেরা এই রান সংগ্রাহক। কিন্তু বহুকাঙ্খিত সেঞ্চুরির উদযাপনটা বুনো হলো না মোটেও। বরং জাদুকরি তিন সংখ্যা ছুঁয়েও মৌনই থাকলেন তামিম!

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের ১২তম ওয়ানডে শতকটি ছুঁতে তামিম ইকবালের প্রয়োজন ছিল ১ রান। কিন্তু ৩৭ তম ওভারে শন উইলিয়ামসের শেষ বলটি সতর্ক ব্যাটে কাভার অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে দৌঁড়ে নিলেন ২ রান। আর মধ্য দিয়েই প্রায় ২ বছর পর বহু কাঙ্খিত সেঞ্চুরির দেখা পেলেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তার সব শেষ শতকটি এসেছিল ২০১৮ সালের জুলাইয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। প্রভিডেন্সে স্বাগতিক ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০৩ রানের ইনিংস। পরের শতকটির দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হলো প্রায় ২ বছর।

ধারণা করা হচ্ছিল শতকটি তুলে নিয়েই উল্লাসে ফেটে পড়ে নিন্দুকের কড়া জবাব দেবেন। কিন্তু না। সেঞ্চুরি ছুঁয়েও নিরুত্তাপ থাকলেন সমালোচিত তামিম। দুইবার প্রান্ত বদলে স্ট্রাইক এন্ডে গিয়ে হেলমেটটিও খুললেন না! শুধুমাত্র ব্যাটটি গ্যালারির দিকে উঁচিয়ে ধরলেন। ক্রিজের ওই প্রান্ত থেকে মাহমুদউল্লাহ এসে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দিত করলেন।

তবে সেঞ্চুরি করেই ক্ষান্ত থাকেননি লাল সবুজের নন্দিত এই ব্যাটসম্যান। ব্যাট ছুটিয়ে জিম্বাবুয়ের বোলারদের লাইন লেংথ দুমড়ে মুচড়ে ১৫৮ রান তুলে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে দিলেন। ১৫৪ রান নিয়ে এর আগে ওয়ানডেতে দেশের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক ছিলেন তামিম। ২০০৯ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই রেকর্ডটি গড়েছিলেন। যা আজ ভেঙে দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেলেন নতুন উচ্চতায়।

বিজ্ঞাপন

তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত উইকেটে আঁকড়ে থাকতে পারেননি। ৪৬তম ওভারে কার্ল মুম্বার ৪র্থ ডেলিভারিটি ড্রাইভ খেলতে গেলে লং অফ অঞ্চলে ক্যাচ উঠে যায়। যা বেশ স্বাচ্ছন্দেই তালুবন্দি করেন মুতোমবদজি। দুর্দান্ত ইনিংসের ইতি টানার আগে ২০টি চার আর ৩টি ছয়ে ১৩৬ বলে তামিম ইকবাল করেন ১৫৮ রান।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন