বিজ্ঞাপন

‘রোহিঙ্গা সংকটে চীন, ভারত, রাশিয়াকে পক্ষে আনাই চ্যালেঞ্জ’

March 4, 2020 | 8:38 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন, ভারত ও রাশিয়াকে বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে আসাকেই আগামী দিনের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার কর্মরত কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ‘ডিকাব’ আয়োজিত সেমিনারে সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব এমন মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের একটি হলরুমে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী কূটনীতি: গত একদশকে বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সরব উপস্থিতি’ শীর্ষক সেমিনারটি  বুধবার (৪ মার্চ) অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, যুদ্ধ বা সংঘাত ছাড়া পৃথিবীতে একটি সীমান্তও নেই, যেখানে মানুষকে গুলি করে মারা হয়। অথচ বাংলাদেশ-ভারত দুইটি ঘনিষ্ট বন্ধুদেশ হলেও এই সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারার ঘটনা ঘটছে। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আশাবাদ হচ্ছে যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বন্ধুত্ব ও সীমান্ত হত্যা একসঙ্গে চলতে পারে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকৃত অর্থে জনগণের মনের কথা বলেছেন। এই সীমান্ত হত্যা দুই দেশের সম্পর্কে একটি চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট আগামী দিনের অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। এই ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যে চুক্তি করেছে, তা মোটেই ভালো চুক্তি হয়নি। কারও চাপে পড়ে ওই চুক্তি সই করতে হলেও তা সই করা উচিত হয়নি। এই ইস্যুতে দীর্ঘদিন আমরা দ্বিপাক্ষিক পদ্ধতিতে বিশ্বাসী ছিলাম, তা মোটেই ঠিক হয়নি।

বিজ্ঞাপন

তৌহিদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বৃহৎ শক্তি ভারত, রাশিয়া ও চীনকে আমাদের পক্ষে পাইনি। জাপানও এই ইস্যুতে খুব বেশি পাশে নেই। এই সংকট সমাধানের জন্য এই শক্তিগুলোকে বাংলাদেশের পক্ষে আনা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, রাশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের বড় বড় শক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ কূটনীতিতে ভালো সম্পর্ক গড়ে নিজেদের পক্ষে কাজে লাগাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনগুলোতে রোহিঙ্গা সংকট, ব্লু ইকনমি, রেমিট্যান্স— এই খাতগুলো চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এসব খাত নিয়ে এখন থেকেই পরিকল্পনা করে এগুতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. মাসুদ বিন মোমেন।

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন