বিজ্ঞাপন

ঢাকায় ইন্দিরা গান্ধি-বাজপেয়ির নামে সড়কের দাবি

March 7, 2020 | 1:17 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধী ও অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে রাজধানী ঢাকায় দুটি সড়কের নামকরণের প্রস্তাব করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা। একই সঙ্গে যারা মোদির সফর বাতিলের জন্য আন্দোলন করছে তাদের প্রতিহত করতে সরকারসহ সুশিল সমাজের প্রতি আহ্বানও জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাব করেন সংগঠনটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাবের পাশাপাশি মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকে দেশ বিরোধী চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, এই কুচক্রী মহল মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক এবং মৈত্রীতে ফাটল ধরাতে চায়।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ভারতের কলকাতা ও দিল্লিতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সড়ক রয়েছে। একইভাবে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধী ও অটল বিহারী বাজপেয়ীর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের নামে ঢাকার দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নামকরণ করা উচিত। এর মাধ্যমে ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের দেশে বাংলাদেশের সম্মান বহুগুণে বেড়ে যাবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান জানাই এবং একইসঙ্গে আমাদের এই প্রস্তাব ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছেও দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনটির সহ-সভাপতি মুনতাসির মামুন বলেন, মুজিববর্ষ নিয়ে অনেকেই বাড়াবাড়ি করছেন। দেশের প্রতিটি জেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল স্থাপন করা হয়েছে। এসবের চেয়ে যদি একটি করে ডিজিটাল স্কুল তৈরি করা যেতো তাহলে অনেকেই উপকৃত হতেন। এদিকে, মুজিব শতবর্ষ পালন হচ্ছে অথচ তার জীবনী নিয়ে ১০০ পৃষ্ঠার কোনো লেখা পাওয়া যাচ্ছে না।

শিল্পী হাশেম খান বলেন, মুজিববর্ষ নিয়ে ম্যূরাল করে অতি বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। এসব ভেঙে ফেলা উচিত। অতি বাড়াবাড়ি মানে জাতির পিতাকে অপমান করা।

সাবেক বিচারপতি এএইচ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, এনআরসি নিয়ে ভারতে যা ঘটছে তা আদালতের রায়েই হচ্ছে। এছাড়া ভারতের কাছে আর কোনো উপায় নেই। সেখানে অনেক প্রদেশের মানুষ এটার বিরোধীতা করছেন। এসব বিষয় তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিলের দাবিতে আন্দোলন মানে দেশের সঙ্গে চক্রান্ত করা। আমাদের মৈত্রীর বন্ধনকে অস্বীকার করা। যারা এসব আন্দোলন করছেন, তারা না জেনে, না বুঝে কথা বলছেন, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীসহ আরো অনেকে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন