বিজ্ঞাপন

‘ঘটনা পরিকল্পিত, প্রত্যাহার হচ্ছেন কুড়িগ্রামের ডিসি’

March 15, 2020 | 3:07 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, কুড়িগ্রামে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাংবাদিককে ধরে নির্যাতন চালানোর পর মাদক দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত। এ অভিযোগে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে অভিযুক্ত অন্যদেরকেও প্রত্যাহার করা হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেয়েছে মন্ত্রণালয়। তারই ভিত্তিতে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রত্যাহারের আদেশ স্বাক্ষরিত হয়নি। স্বাক্ষর না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি আগেই বলছি না।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। সুতরাং তারও কনসার্নের বিষয় রয়েছে। তিনি এরই মধ্যে শুনেছেন এবং এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আশা করছি, বিকেলের মধ্যে প্রত্যাহারের একটি আদেশ হাতে পাওয়া যাবে।’

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসকের এ রকম কাজের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনের সব মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে তিনি ভুল কাজ করেছেন। এখন তার ভুলের জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তার প্রথম যে ন্যুনতম শাস্তি তা হলো প্রত্যাহার করে নেওয়া। সেটি হচ্ছে। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। তার ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত হবে আবারও। সে অনুযায়ী তার বিচার হবে। শাস্তি হবে।’

অন্যদিকে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুর রহমানকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে তার সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১৫ মার্চ) এ বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন