বিজ্ঞাপন

মুজিববর্ষ উদযাপন আলোয় লাল-সবুজে আলোময় রাজধানী

March 17, 2020 | 2:35 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মুজিববর্ষ উদযাপন আলোয় বর্ণিল সাজে সাজে নতুন রূপে সেজেছে রাজধানীসহ সারা দেশ। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সড়ক দ্বীপসহ জাতীয় স্থাপনাগুলো মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্ম চেতনা লাল-সবুজ রঙ্গিন আলোয় সজ্জ্বিত করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষের বহুল প্রতীক্ষিত ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। মঙ্গলবার দেশের সীমানা পেরিয়ে একসাথে মুজিববর্ষ উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মুজিববর্ষ উদযাপন শুরুর প্রাক্কালে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সরকারি অফিস, গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারি বাসভবন গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সড়ক দ্বীপ, উড়ালসড়ক, ওভারপাসসহ, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আলোকসজ্জ্বাসহ ডিজিটাল ফ্যাস্টুনে সজ্জ্বিত করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ও মুজিববর্ষ উদযাপন আলোয় সজ্জ্বিত করা হয়েছে। বিকেল শেষে সন্ধ্যার আবহ নেমে আসতেই রাজধানীতে রঙিন আলোয় নতুন এক অবয়ব রূপ নিয়েছে। আলোকসজ্জ্বায় মাঝে ঠাঁই পেয়েছে বিভিন্ন প্রতিকৃতির জাতির পিতার ফ্রেমবন্দী ছবি। কোথাও কোথায় লাল-সবুজ আলোয় জাতির পিতার অবয়ব ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে। আলোক সজ্জ্বিত এসব স্থাপনার সামনে বিভিন্ন স্তরের মানুষজন নিজেদের ক্যামেরাবন্দি করে রাখার লক্ষ্যে ছবি তুলছে। অনেককে সেলফি তুলতে দেখা গেছে।

১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জাতির পিতা। পিতা শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুন। চার বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। ডাকনাম ছিল ‘খোকা’। সময়ের সাহসিকতায় সেই খোকা নামের শিশুটিই শিক্ষা-দীক্ষা, সাহস, দক্ষতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে হয়ে ওঠেন স্বাধীন-সার্বভৌম জাতি-রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুজিববর্ষ ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতি যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মুজিব বর্ষের সূচনা ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবসটি উদযাপন করবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশী দূতাবাসসমূহে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার রাত আটটায় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে আতশবাজির মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। রাষ্ট্রপতি তার ভাষণের পরপর আতশবাজির মাধ্যমে জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেকর্ড করা ভাষণসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সারাদেশে বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা ও দুস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হবে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমিত আকারে কর্মসূচি পালন করা হবে।

সারাবাংলা/এনআর/টিএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন