বিজ্ঞাপন

কওমি মাদরাসাগুলোকে সরকারি অনুদান না নেওয়ার আহ্বান বেফাকের

May 2, 2020 | 9:45 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকারি অনুদান নেওয়া কওমি মাদরাসার দেড়শত বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি আদর্শকে বিসর্জন দেওয়া বলে মন্তব্য করছে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি। তাই তারা এ ধরনের অনুদান নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সকল কওমি মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২ মে) সরকারি অনুদান বিষয়ে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মজলিসে খাসের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সহসভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হযরত মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস। পরে এক বিবৃতিতে বেফাক এ তথ্য জানায়।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৬ হাজার ৯৫৯টি কওমি মাদরাসাকে ৮ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়। যার পরিপেক্ষিতে এই প্রতিক্রিয়া জানালো বেফাক।

বেফাকের সভায় নেতারা বলেন, উপমহাদেশব্যাপী বিস্তৃত কওমি মদরাসাগুলো ভারতের বিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি-আদর্শ ও শিক্ষাক্রম অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠাকালে অলঙ্ঘনীয় যে ‘উসুলে হাশতেগানা’ তথা আট মূলনীতি নির্ধারণ করে, তার অন্যতম একটি হলো- যেকোনো পরিস্থিতিতে সরকারি অনুদান নেওয়া থেকে বিরত থাকা। সুতরাং এই মূলনীতিকে বিসর্জন দিয়ে দেশের কোনো কওমি মাদরাসা সরকারি অনুদান গ্রহণ করতে পারে না। অতীতেও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কঠিন সংকটের সময়ে আমাদের পূর্বসূরীরা অনুদানের জন্য সরকারের দ্বারস্থ হননি।

বিজ্ঞাপন

বেফাকের বিবৃতিতে বলা হয়, উপমহাদেশে ইসলাম, মুসলমান তথা দ্বীনের হেফাজতের জন্য আকাবির ও আসলাফগণ এক কঠিন পরিস্থিতিতে যে ৮ মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার হুবহু ওই মূলনীতিগুলোর ভিত্তিতেই কওমী মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে। কওমি মাদরাসার সংজ্ঞাকে উপেক্ষা করে আমরা কোনোভাবেই সরকারি অনুদান গ্রহণ করতে পারি না। তারা কওমি মাদরাসার দায়িত্বশীলদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষণিকের সংকট উত্তরণে সরকারি অনুদান গ্রহণ করে অনন্তকালের কুদরতি সাহায্যের রাস্তা বন্ধ করবেন না। আল্লাহর ওপর দৃঢ় ভরসা রাখুন, করোনার মহামারি থেকে বিশ্ববাসী ও মুসলিম উম্মার মুক্তির জন্য দোয়া জারি রাখুন।

বৈঠক বেফাকের সভাপতি আল্লামা আহমদ শফির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, হযরত মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর), মাওলানা ছফিউল্লাহ, মাওলানা মাহফুযুল হক, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা মুফতি নূরুল আমিন ও মাওলানা মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন