বিজ্ঞাপন

এবার মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে তামিম-অপু

May 7, 2020 | 3:04 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

করোনাকালে দেশের দুঃস্থ জনসাধারণ ও খেলোয়াড়দের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল কী করেছেন তা বোধ হয় নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। বরং যদি বলা হয় কী করেননি? সেটাই অধিক যুক্তিযুক্ত হবে। বসে থাকেননি জাতীয় দলের স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুও। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর শুরু থেকেই নিজ জেলা নারায়ণগঞ্জের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৭ মে) নারায়ণগঞ্জের ফরাজিকান্দা এলাকায় এই দুই টাইগার সদস্য ১৫ মুক্তিযোদ্ধাকে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে নগদ অর্থ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য তুলে দিয়েছেন। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নাজমুল ইসলাম অপু।

তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য। অনেকেই আছেন সেই ক্ষতির কথা কাউকে বলতে পারছেন না। এর মধ্যে আমাদের এলাকাতে (ফরাজিকান্দা) এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা বিপদে আছেন। তাই আমার ও তামিম ভাইয়ের পক্ষ থেকে তাদের একটি সম্মানী উপহার হিসেবে দিতে চাই। তাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। যা তুলে দিয়েছেন ইউএনও ম্যাডাম।’

বিজ্ঞাপন

দেশের মধ্যে রাজধানী ঢাকার পরেই নারায়ণগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সঙ্গত কারণেই দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর প্রায় শুরুর দিকেই জেলাটিকে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেই জেলার একজন বাসিন্দা হিসেবে করোনাকালে অসহায়দের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টায় থাকা নাজমুল ইসলাম অপু। সহযোদ্ধা হিসেবে আছেন এলাকার আরও ১৪ জন।

শিল্পসমৃদ্ধ নারায়ণগঞ্জে হাজারো শ্রমিকের বাস। কিন্তু করোনায় কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে তাদের বেশির ভাগই বেকার হয়ে পড়েছেন। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের সহযোগিতা নিয়ে এমন ৮০০ পরিবারকে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তুল দিয়েছেন নাজমুল ইসালাম অপু। রমজান মাসের শুরু থেকেই সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন যেন সেহরিতে কেউ অভুক্ত না থাকে। এর বাইরেও ১ হাজার ৮০০ পরিবারকে এক দিনে দেওয়া হয়েছে উন্নত মানের ইফতার।

এদিকে করোনাভাইরাস এদেশে প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর শুরু থেকেই নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশ সেরা রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দিয়ে গেছেন আর্থিক সহযোগিতা। কখনো বা অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে।

বিজ্ঞাপন

দেশে করোনার আবির্ভাবের শুরুতে ২৭ ক্রিকেটারের বেতনের অর্ধেক দান করার যে প্রক্রিয়া তার উদ্যোক্তাও ছিলেন তামিমই। জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনাজয়ী সামিউল ইসলাম অর্থাভাবে যখন চরম বিপদে তখন এগিয়ে গিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

ঢাকার মোহাম্মদপুরের ‘একজন বাংলাদেশ’ নামে পরিচিতি পাওয়া নাফিসা খানের মাধ্যমেও অনেক পরিবারকে খাদ্য সরবরাহ করেছেন তামিম। করোনা মোকাবিলায় ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) তহবিল গঠনের কমিটিতেও কাজ করছেন তিনি। এরপর অর্থ সহায়তা দিলেন ৯১ জন অসচ্ছ্বল ক্রিকেটারদের। এবার দাঁড়ালেন মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন