বিজ্ঞাপন

করোনাকালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অব্যবস্থাপনা ও সমাধান প্রস্তাব

May 18, 2020 | 8:06 am

শেখ নাহিদ নিয়াজী, মির্জা অদ্বিত রহমান, তপন মাহমুদ, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও মো. হুমায়ূন কবির

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গত ২০ মার্চ, ২০২০ থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্চ মাসে ক্ষেত্র বিশেষে ৩৫ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কাটা হয়েছে যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, অমানবিক এবং অন্যায্য। এমনকি, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এপ্রিল ও মে মাসের বেতন, সেই সাথে ঈদ বোনাসও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের আর্থিক প্রণোদনার দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে, কিন্তু তাদের সেই আবেদন সরকারের সুনজরে পড়ার অপেক্ষায় আছে। অপরদিকে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের এই অর্থসংকটের পেছনে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টার ২০২০ এর টিউশন ফিস আদায় না করতে পারার অযৌক্তিক কারণ দেখাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, গত ১৭ই মার্চ, ২০২০ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা মহামারীর প্রকোপ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি চলমান আছে।

বিজ্ঞাপন

এটা বলা বাহুল্য যে, এই বৈশ্বিক মহামারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থ ব্যবস্থাপনায় বিরূপ চাপ সৃষ্টি করেছে যেহেতু প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিস হারাচ্ছে এবং তারা নতুন সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তিও করতে পারছে না। এটা সত্য যে, বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের টিউশন ফিসের আয়ের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল; কিন্তু এমন দুর্যোগপ্রবণ সময়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কর্তনের এই যুক্তি অবশ্যই অকাট্য নয়।

১৯৯২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ২৫ বছরে এ খাতে অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণ বিষয়ে আজকের এই লেখা। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের ভূমিকা আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।

আমেরিকান উচ্চশিক্ষা বিষয়ক গবেষক অধ্যাপক ফিলিপ জি আল্টব্যাক আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন: ক) গবেষনায় উৎকর্ষ, খ) উচ্চ গুণমান সম্পন্ন অধ্যাপক, গ) শিক্ষা ও গবেষণার অনুকূল পরিবেশ, ঘ) চাকুরির নিশ্চয়তা এবং আকর্ষনীয় বেতন ও আর্থিক সুবিধা, ঙ) পর্যাপ্ত সুবিধাজনক উপকরণাদি, চ) পর্যাপ্ত গবেষণা তহবিল, ছ) শিক্ষায়তনিক স্বাধীনতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানচর্চার অনুকূল পরিবেশ এবং জ) শিক্ষকমন্ডলীর স্ব-শাসন।

বিজ্ঞাপন

এখন প্রশ্ন করাই যেতে পারে যে, আমাদের দেশের কতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় উপরোল্লিখিত মান অর্জন করতে সচেষ্ট হয়েছে? একটি উচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করা অত্যাবশ্যকীয় যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দূর্বল করে দিচ্ছে:

১) অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাননীয় উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য মহোদয়গণ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষায়তনিক এবং প্রশাসনিক নেতৃত্বস্থানীয় হওয়া সত্বেও শোভাবর্ধক অলংকারস্বরূপ পদাসীন হয়ে আছেন কারণ তাঁরা স্বাধীনভাবে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। উপাচার্যকে বোর্ড অফ ট্রাস্টি দ্বারা নিয়োগকৃত রেজিস্ট্রার এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বারা একটা বলয় তৈরি করে আলাদা করে রাখা হয়।

২) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারনত অঙ্গ তিনটি- শিক্ষার্থী, শিক্ষক আর প্রশাসন। বলা বাহুল্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অঙ্গ, যেখানে প্রশাসন হচ্ছে সহায়ক অঙ্গ। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতা ভিন্ন যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ফোকাল পয়েন্টে কখনোই রাখা হয় না অথচ প্রশাসনই সর্বেসর্বা। এর মূল কারন, প্রশাসনে সাধারণত নিয়োগ করা হয় ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের আত্মীয়স্বজন বা তাদের আর্শীবাদপুষ্ঠ লোকজন। আর, প্রধান অঙ্গকে যখন অবশ করে সহযোগী অঙ্গ দিয়ে কাজ করা হয়, তার পরিণামই আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখছে।

বিজ্ঞাপন

৩) বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক আর্থিক বিবরণী (বাৎসরিক বাজেট) শিক্ষক, ছাত্র কারো কাছেই উন্মুক্ত ও প্রকাশিত নয়। এমনকি তারা এটাও জানে না যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের কত অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থসংশ্লিষ্ট খাতে ব্যয় হচ্ছে। বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে বার্ষিক আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেয় না; এমনকি যা দেয় তার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে। এমনকি, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আইনসিদ্ধ অর্থ কমিটির নিয়মিত সভা করে না যেখানে মাননীয় উপাচার্যও এই কমিটির একজন সদস্য। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, যিনি আচার্যও, কর্তৃক নিয়োজিত কোষাধ্যক্ষগণকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব জানানো হয় কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

৪) অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিধিবদ্ধ আইন বা চাকুরি প্রবিধি যেখানে চাকুরি সুবিধাদি, নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা, অবসরের বয়সসীমাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদির উল্লেখ থাকার কথা তা প্রকাশিত নয়।

৫) অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করে যা এই তরুণ শিক্ষকবৃন্দকে একটি অনিশ্চিত পেশাজীবনের দিকে ঠেলে দেয় যেখানে তারা অনেকটা ভাসমান শিক্ষক হিসেবে স্থায়ী শিক্ষকবৃন্দের উপভোগ্য অনেক সুবিধাদি থেকে বঞ্চিত হন।

৬) কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবারতান্ত্রিক বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ রয়েছে যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী আইন বহির্ভূত। এমনকি তারা আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মাননীয় উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষকেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছেন বলেও আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে না।
এছাড়া, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্যগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক পদে আসীন থেকে নিয়মিত অফিস করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করেন এবং নিয়মিত মাসিক বেতন উত্তোলন করেন যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী বেআইনি।

বিজ্ঞাপন

৭) অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আপৎকালীন সময়ে ব্যয় নির্বাহ করার জন্য কোন ‘সংরক্ষিত তহবিল’ নেই; এমনকি তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপার্জিত অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে পুরোপুরি ব্যয় করে না।

৮) অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত ও প্রকাশিত কোন বেতন স্কেল নেই এবং তা নির্দিষ্ট সময় পর পর সংশোধন ও মানোন্নয়নও করা হয় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বেতন স্কেল খুব গোপনীয় কোন বিষয়; যা খুবই হাস্যকর। এমনকি, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্টি সদস্যের আত্মীয় বা কোন দূর্নীতিগ্রস্ত ট্রাস্টি সদস্যের সাথে যোগসাজশ করা প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণকে অস্বাভাবিক বেতন দেয়া হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি, যাদের বেতন কোন কোন ক্ষেত্রে জেষ্ঠ্য অধ্যাপক বা ডীন মহোদয়ের চেয়েও বেশি থাকে। এরাই আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল তছরুপের সাথে জড়িত থাকেন।

সম্প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আর্থিক সংকট ও চাকরির অনিশ্চয়তার মাঝেও অনলাইন ক্লাস নিতে এবং শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে পরম আগ্রহী। এমতাবস্থায়, প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত তাদের সংরক্ষিত তহবিল থেকে ব্যয় নির্বাহ করে, তারপর সরকারের কাছে প্রণোদনা প্যাকেজের আশা করতে পারে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এভাবেই সরকার তাদের এই আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দিবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানকে পুনরজ্জীবিত করতে সহায়তা করবে।

শিক্ষক সম্প্রদায় অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কারণে মনে করেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০’ এখনো অসম্পূর্ণ এবং অতিসত্বর পর্যালোচনার মাধ্যমে এর প্রয়োজনীয় সংশোধন আনয়ন জরুরী হয়ে পড়েছে। পরিশেষে, সরকার বা বেসরকারি মঞ্জুরী কমিশন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ পর্যালোচনার সময় নিম্নলিখিত প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনা করতে পারে:

১) বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্যদের মধ্যে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের মধ্য থেকে কমপক্ষে দুইজনের অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করা ও ট্রাস্টি বোর্ডে একই পরিবারের দুই/তিনজনের অধিক সদস্য না থাকার বিধান করা।

২) অর্থ কমিটিতে অন্যান্য সদস্য ছাড়াও কমপক্ষে দুইজন শিক্ষক প্রতিনিধি রাখার বিধান করা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে একজন শিক্ষক মাননীয় উপাচার্য কর্তৃক মনোনীত হবেন আর অন্যজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে প্রথিতযশা কোন শিক্ষাবিদ মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক মনোনীত হবেন।

৩) শিক্ষক সম্প্রদায়ের সামষ্টিক স্বার্থরক্ষায় শিক্ষক সমিতি গঠন করার বিধান রাখা।

৪) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধিমালা ও চাকরি নীতিমালা প্রনয়ন করে এবং শিক্ষকগণের পেশাগত সুরক্ষা ও সুবিধাদি নিশ্চিত করে এমন ‘রক্ষাকবচ’ বিধান রাখা; যেমন, কোনো শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিত্ব রাখা, অংশীদারী ভবিষ্যৎ তহবিল, বৈশাখী ভাতা, গ্র্যাচুইটি/পেনশনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা উল্লেখপূর্বক একটি মডেল বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা।

৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল তসরুপের ঘটনায় জড়িত এমন কোন ব্যক্তিকে ট্রাস্টি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা শিক্ষক যেই হোন না কেন অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় নিয়ে আসা।

৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রমে ট্রাস্টি সদস্যদের অযাচিত হস্তক্ষেপ রোধ করা এবং অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বা কোন ট্রাস্টি সদস্য যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন স্থায়ী শিক্ষায়তনিক বা লাভজনক পদে আসীন হতে না পারে সে বিধান অন্তর্ভূক্ত করা।

৭) প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় যেন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার সংরক্ষিত তহবিল বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল জমা রাখে তা নিশ্চিত করা।

৮) বিশ্ববিদ্যালয় হতে উপার্জিত অর্থ যেন শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় হয় তা নিশ্চিতকল্পে বিধান রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক বিবরণী (বাৎসরিক বাজেট) প্রণয়নে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করা এবং তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা।

লেখকগণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-
১) শেখ নাহিদ নিয়াজী, সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজী বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
২) মির্জা মো. অদ্বিত রহমান, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজী বিভাগ এবং সহকারী প্রক্টর, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
৩) তপন মাহমুদ, সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
৪) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
৫) মো. হুমায়ূন কবির, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন