বিজ্ঞাপন

করোনাতেও পাটপণ্যের রফতানি আয়ে সুবাতাস

June 9, 2020 | 12:34 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে যখন সবকিছু স্থবির, ঠিক সেই সময়ও ব্যতিক্রম পাটপণ্য। করোনা সংকটের মধ্যেও দেশে পাটপণ্য রফতানি আয়ে এসেছে সুখবর। অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের মে) লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও পাটপণ্য রফতানি হয়েছে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই আয় ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি। শুধু তাই নয়, এই ১১ মাসে রফতানি আয় আগের পুরো অর্থবছরের আয়কে ছাড়িয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ জুন) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাটপণ্য থেকে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৮২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সে হিসাবে জুলাই থেকে মে পর্যন্ত রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫ কোটি ২৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে রফতানি আয় ছিল ৮১ কোটি ৬২ লাখ ডলার। আর ওই অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত পাটপণ্যে রফতানি আয় হয়েছিল ৭৭ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

আরও পড়ুন- মাস ব্যবধানে রফতানি বেড়েছে ৩ গুণ

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৮১ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ পাট ও পাটজাত পণ্যে ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এই ১১ মাসের রফতানি আয় গত অর্থবছরের মোট রফতানি আয়ের চেয়ে ১৭ লাখ ডলার বেশি।

ইপিবি সূত্র বলছে, চলতি অর্থবছরের বড় একটি সময়ে মন্থর গতি দেখা গেছে। ডিসেম্বর থেকেই করোনাভাইরাসের ধাক্কায় পণ্য রফতানির প্রায় প্রতিটি খাতেই নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। গেল ১১ মাসে দেশের রফতানি আয়ও লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত আয় গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে কম।

ইপিবির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে রফতানি কম হয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ শতাংশ। এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কম হয়েছে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ১৫৫ কোটি ডলার থাকলেও রফতানি হয়েছে তিন হাজার ৯৫ কোটি ডলারের পণ্য। গত বছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৭৭৫ কোটি ডলার।

বিজ্ঞাপন

প্রায় সব খাতেই রফতানি কমলেও ব্যতিক্রম ছিল পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ওষুধ শিল্প। এই দুই খাতেই রফতানি আয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাকেও ১১ মাসে রফতানি কমেছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এই পরিমাণ ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ কম। অন্যান্য বড় পণ্যের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি কমেছে ২১ শতাংশের বেশি, লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে ২৬ শতাংশ। চিংড়িসহ হিমায়িত মাছের রফতানি কম হয়েছে ১০ শতাংশ। আর কৃষি পণ্যে রফতানি আয় কমেছে ৮ শতাংশের বেশি।

তবে গেল এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে দেশের রফতানি আয় বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। চলতি অর্থবছরের মে মাসে ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের চেয়ে ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। তবে গেল এপ্রিলের চেয়ে রফতানি আয় বেড়েছে প্রায় তিন গুণ, ওই মাসটিতে এই আয় ছিল ৫২ কোটি ডলার।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন