June 10, 2020 | 5:34 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকে এবারের বাজেটে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘উৎপাদনের চেয়ে বিতরণ ও সঞ্চালনকে বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
বুধবার (১০ জুন) এ সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, ‘এবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ২৪ হাজার ৮৯৩ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা। ইসিএ অর্থায়ন ১ হাজার ৮৩৭ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। আর নিজস্ব অর্থায়ন ৯৫৫ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিদ্যুৎ বিভাগে ৯৩টি প্রকল্পের জন্য ২৭ হাজার ৫৯৭ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ১ হাজার ৮৩৫ দশমিক ৬২ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। এরমধ্যে গ্যাস উত্তোলন তহবিল ২৬০ দশমিক ২৯ কোটি টাকা আর নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ৪২ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট ২৪ প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ১৩৮ দশমিক ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিতরণ ও সঞ্চালনে বেশি বরাদ্দ চেয়েছি। কারণ এ দুই মাধ্যমে বেশি খরচ হচ্ছে। এছাড়া বড় বড় প্রকল্পগুলোতে খরচ হবে। আমরা চাচ্ছি জ্বালানিতে কিভাবে তেলে অর্থ সাশ্রয় করা যায়। জ্বালানি খাতে বড় ব্যয়গুলো হবে তেলের পাইপ লাইন হচ্ছে গভীর সমুদ্রে। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পাইপলাইন হচ্ছে, ঢাকা চট্টগ্রাম পাইপ লাইন নির্মাণ হচ্ছে সেদিকে। জ্বালানিতে যে অর্থ বরাদ্দ থাকবে তা সুষ্ঠু নিরবচ্ছিন্ন সঞ্চালন ও গ্যাস উত্তোলনের জন্য। অর্থাৎ নিজস্ব গ্যাস উত্তোলনে।’
তিনি এসময় আরও জানান, ‘গ্যাসের পুরনো লাইন অটোমেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ঢাকা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী বরিশাল খুলনা বিভাগে বেশি অর্থ ব্যয় হবে। চট্টগ্রামকে আপডেট করা হবে। বিশেষ করে গুরুত্ব দেওয় হবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে। বিদ্যুতে সেখানে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ডিপিডিসির আওতায় প্রিপেইড মিটার কত দ্রুত লাগানো যায় সে বিষয়ে খরচের বিষয়ও বাজেটে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাস্তব পরিস্থিতিতে একটা প্রস্তাব করেছি বাজেটে। যার বেশির ভাগ ব্যয় উন্নয়ন প্রকল্পে জন্য।’ এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম এই মুহূর্তে কমানোর পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোভাইরাসের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ আশানুরূপ না হওয়ায় সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মুজিব বর্ষেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/এমআই