বিজ্ঞাপন

জোন ব্যবস্থা বাস্তবায়নে অধিফতরের ৭ নির্দেশনা

June 12, 2020 | 8:53 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) বিস্তার ঠেকাতে নতুন করে এলাকাভিত্তিক রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন বাস্তবায়নের স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সাতটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নীতিমালার উপরে নির্ভর করেই নির্ধারণ করা হবে রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোন।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন)-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এই সাতটি নির্দেশনা জারী করছেন।

নির্দেশনাগুলো হলো –

১. কোভিড-১৯ রোগের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশের যে কোনো ছোট বড় এলাকাকে লাল, হলুদ, বা সবুজ জোন হিসাবে চিহ্নিত করা যাবে। জোন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

২. প্রাথমিকভাবে অবিলম্বে ৩টি জেলায় (গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ ও নরসিংদী) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজাবাজার এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারীতে পরীক্ষামূলকভাবে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে। জোন সুনির্দিষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোন অংশে কার্যকর হবে এবং এর পরিধি কি হবে তা প্রয়োজন অনুসারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।

৩. পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতর একটি কেন্দ্রীয় কারিগরী গ্রুপ গঠন করবে। এই কমিটি সময়ে সময়ে জোনিং সিস্টেমের সংজ্ঞা পর্যালোচনা করবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে পর্যালোচনা করে জোনিং সিস্টেমের সংজ্ঞা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করার পরামর্শ দেবে। পরবর্তিত পরিকল্পনা বা নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হবে। সকল সময়ে হালনাগাদ পরিকল্পনা বা নির্দেশনা অনুসরণ করে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে হবে।

৪. আইনের ৩০ ধারা অনুসারে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনের নিকট জোনিং ঘোষণার ক্ষমতা অর্পন করা হলো। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিভিল প্রশাসন, আইন শৃংখলা ও সশস্ত্র বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন।

বিজ্ঞাপন

৫. বিদ্যমান বা নতুন এলাকায় জোনিং সিস্টেম প্রস্তাব বা পরিবর্তনের জন্য প্রতিটি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলায় স্থানীয় কমিটি থাকবে। বিদ্যমান কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সংক্রামক কমিটিগুলোও এই দায়িত্ব পালন করতে পারবে। কমিটি জোনিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংজ্ঞা ও বাস্তবায়ন কৌশল অনুযায়ী অব্যাহতভাবে স্থানীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে এবং জোনিং সিস্টেম চালু করতে হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতামত চাইবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর কেন্দ্রীয় কারিগরী গ্রুপের মতামত সাপেক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।

৬. বাস্তবায়নাধীন জোন এলাকায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচল/ছুটি/দায়িত্ব পালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/অধিদফতর/পরিদফতর/দফতর/প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৭. এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়রের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/একেএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন