বিজ্ঞাপন

সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা ডিবিতে স্থানান্তর

July 14, 2020 | 11:54 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় অনিয়ম-প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা র‌্যাবের মামলাটি তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালানোর পর গত ৭ জুলাই রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে ওই মামলাটি করে। মামলা নম্বর ৫।

আরও পড়ুন- সাহেদের সহযোগী রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ গাজীপুরে গ্রেফতার

মামলাটি তদন্ত করছিলেন উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর গাজী। তিনি মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাতে সারাবাংলাকে বলেন, কমিশনারের নির্দেশে মামলাটি ডিবিতে (উত্তরা বিভাগ) হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শফিকুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, মো. সাহেদসহ তার সহযোগীদের প্রতারণার মামলাটি এখন থেকে ডিবি তদন্ত করবে। এখন তাকে গ্রেফতার করাই হচ্ছে আসল কথা। তাকে গ্রেফতারে ডিবির টিম কাজ করছে। সাহেদের অবস্থান ও তার প্রতারণা বা অপকর্ম সম্পর্কে কারও কাছে তথ্য থাকলে তা জানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে, গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালানোর সময় গ্রেফতার করা হয় আটজনকে। একইসঙ্গে হাসপাতালের শাখা দু’টি সিলগালা করা হয়।

সবশেষ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের প্রধান সহযোগী তারেক শিবলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হেফাজতে নেওয়া হয় টিভি নাটকের অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘টেলিহোম’র প্রধান ও সাহেদের ভায়রা মোহাম্মদ আলী বশিরকে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে পলাতক রয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ। তার দেশত্যাগ ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরই মধ্যে সাহেদের পাসপোর্টও জব্দ করেছে তদন্তকারী দল। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলার তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। ভুক্তভোগীরা এখনো মামলা করে যাচ্ছেন তার বিরুদ্ধে।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন