বিজ্ঞাপন

রেকর্ড গড়ে পিচিচি জিতলেন মেসি

July 20, 2020 | 12:46 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

লা লিগার এবারের মৌসুম শেষ হলো গতরাতে। শিরোপা নির্ধারিত হয়েছিল আর দু’দিন আগে, আর শেষ ম্যাচে এসে নির্ধারিত হলো লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার নাম। যদিও শেষ রাউন্ডের আগেই কিছুটা অনুমেয় ছিল মেসিই পেতে যাচ্ছেন এবারের পিচিচি অ্যাওয়ার্ডটি। শেষ পর্যন্ত দেপোর্তিভো আলাভেজের বিপক্ষে জোড়া গোল করে জয় নিশ্চিত করেন ৭ম বারের মতো পিচিচি অ্যাওয়ার্ড।

বিজ্ঞাপন

একটা সময় ছিল যখন লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইয়ে সমান তালে লড়তেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসি। এখন সময় পাল্টেছে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন জুভেন্টাসে তবে লিওনেল মেসি ঠিকই রয়ে গেছেন বার্সেলোনাতে। আর নিজের সেরাটুকুই দলকে উজাড় করে দিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে রোনালদো চলে যাওয়ায় রিয়ালের গোল করার ভার এসে পড়েছে করিম বেনজেমার ওপর। যা তিনি করে যাচ্ছেন নিজের সর্বোচ্চরও বেশি দিয়ে।

লা লিগার শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে। ভিয়ারিয়ালকে ঘরের মাঠ আলফ্রেড ডি স্টেফানোতে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে রিয়াল মাদ্রিদ। শিরোপার দৌড় শেষ হলেও রিয়াল আর বার্সার লড়াই এবার ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছিল। লা লিগায় ছয়বার পিচিচি অর্থাৎ সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব জেতা লিওনেল মেসির সঙ্গে এবার দৌড়ে ছিলেন করিম বেনজেমাও।

দুই দলের খেলোয়াড়দের প্রচেষ্টায় এবার লা লিগার পিচিচি অ্যাওয়ার্ড নিজ নিজ দলের সেরা খেলোয়াড়কে জেতানোর। এই লড়াইয়ে লিওনেল মেসির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিলেন করিম বেনজেমা। লা লিগার ৩৭তম ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসির গোল সংখ্যা ছিল ২৩টি, আর করিম বেনজেমার গোল ২১টি। নিজেদের শেষ ম্যাচে মেসি জোড়া গোল করে সেই সংখ্যাটি করেন ২৫, আর গোলশূন্য থেকে ২১ এই থামতে হয় বেনজেমাকে।

বিজ্ঞাপন

এ নিয়ে রেকর্ড সপ্তমবারের মতো পিচিচি ট্রফি জিতে নিলেন মেসি। এর আগে গত মৌসুমে কিংবদন্তী তেলমো জারার সঙ্গে রেকর্ড ভাগাভাগি করছিলেন বার্সা অধিনায়ক। ১৯৪৫ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে মোট ছয়বার পিচিচি জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন জারা। চলতি মৌসুমে ২৫ গোল করেই সপ্তমবারের এ শিরোপা স্বাদ নিয়ে জারাকে পেছনে ফেলেন তিনি। ১২ বছর পর লা লিগায় ৩০ গোলের কম দিয়ে কোনো খেলোয়াড় পিচিচি জয়ের স্বাদ পেলো। আর মেসিও প্রথম ৩০ গোলের কম দিয়ে এ শিরোপা জিতলেন। এর আগের ছয়বারই জিতেছেন ৩০ গোলের বেশি করে।

পিচিচি হাতছাড়া হওয়ায় বেনজেমা দুষতে পারেন রামোসকেও। কেননা রিয়ালের অর্জিত বেশিরভাগ পেনাল্টিই নিয়েছিলেন রামোস। আর সেই সুযোগ গুলো বেনজেমা পেলে নিশ্চয়ই পিচিচির দৌড়ে এগিয়েই থাকতেন। পিচিচির দৌড়ে থাকা দুইজনই মৌসুমে মোট পাঁচটি করে গোল করেছেন পেনাল্টি স্পট থেকে। তবে রিয়ালের প্রথম পছন্দের পেনাল্টি টেকার সার্জিও রামোস লা লিগায় মোট ১১ গোলের মধ্যে ছয়টিই করেছেন পেনাল্টি থেকে। অর্থাৎ মৌসুমের প্রথম থেকে রিয়ালের পেনাল্টিগুলো বেনজেমা নিলে এখন পর্যন্ত বেনজেমার গোল সংখ্যা থাকতে পারতো ২৭টি।

কিংবদন্তি তেলমো জারার ছয়বার পিচিচি জয়ের রেকর্ড ভেঙে সপ্তমবারের মতো পিচিচি জেতা মেসি নতুন আরও এক রেকর্ডও গড়েছেন। এই নিয়ে টানা চার মৌসুম পিচিচি জিতলেন মেসি। এর আগে আরও দুইজন গড়েছিলেন এই কীর্তি। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৫৮-৫৯ পর্যন্ত টানা চার আসরে পিচিচি জিতে প্রথম কীর্তিটি গড়েন রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি আলফ্রেড ডি স্টেফানো। তারপরে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে টানা চার আসরে জিতে এই রেকর্ডে ভাগ বসান মেক্সিকোর সাবেক স্ট্রাইকার হুগো সানচেজ। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে জেতার পর পরের তিন মৌসুমে জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। মেসির সামনে সুযোগ থাকছে আগামী মৌসুমেই এ রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন