বিজ্ঞাপন

‘কৃষির উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা’

July 23, 2020 | 2:29 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কৃষিখাতের উন্নয়ন প্রকল্পের কেনাকাটায় অনিয়ম বা দুর্নীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য আয়োজিত অনলাইন সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবারও হুঁশিয়ার করছি, কেউ যদি কেনাকাটায় অনিয়ম করতে চান, দুর্নীতি করতে চান, তাহলে চরম মূল্য দিতে হবে। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে, স্বচ্ছতার সঙ্গে ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কোনোরকম অনিয়ম বা দুর্নীতি করলে বা অনিয়মের উদ্দেশ্যে অসামঞ্জস্যপূর্ণ দাম ধরলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করা হবে।’

ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষি যন্ত্রপাতি, সার, বীজ ও অন্যান্য জিনিসসহ প্রকল্পের প্রত্যেকটা জিনিস বাস্তবে কেনার সময় ই-জিপির মাধ্যমে উন্মুক্ত দরপত্রে কেনা হবে। ঠিকাদারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে কেনার সুযোগ নেই। কেউ যদি মনে করে থাকেন বেশি দাম লেখা আছে বা সে রকম সুযোগ আছে সেটাকে ব্যবহার করে কোনো দুর্নীতি-অনিয়ম করবেন, সেটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কোরোরকম অনিয়ম বা দুর্নীতি হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পটি কৃষি খাতের একটি স্বপ্নের প্রজেক্ট। অনেক দিনের লালিত প্রজেক্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব এ সরকারের কৃষিতে এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ, আধুনিকীকরণ করা। কৃষিকে অধিকতর লাভজনক করা। সেলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী গত অর্থবছরে ২০০ কোটি বরাদ্দ দিয়েছিলেন কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য। যার মাধ্যমে হাওড়সহ সারাদেশ ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার প্রভৃতি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা এসব যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সফলভাবে বোরো ধান ঘরে তুলেছেন। এই ধারাবাহিকতায় ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে যুগান্তকারী পদক্ষপে নেওয়া যাবে এবং চলতি অর্থবছরটি কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

সভায় জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট ৭৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন ছিল। এসব প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা, ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৯৪ শতাংশ। করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে শতভাগ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব না হলেও জাতীয় গড় অগ্রগতি (৮০ দশমিক ২৮ শতাংশ) অপেক্ষা কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি বেশি হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে।

অনলাইন সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন