বিজ্ঞাপন

‘সফল’ লকডাউন শেষ হলো ওয়ারীতে

July 25, 2020 | 12:55 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারী এলাকায় লকডাউন প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে বলে দাবি সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের। আর সে কারণেই ২১ দিনের জন্য ঘোষিত লকডাউনের মেয়াদ আর বাড়ছে না। সকাল থেকেই লকডাউনমুক্ত স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরবে পুরান ঢাকার এলাকাটি। তবে স্থানীয়দের সব স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে করোনা সম্পর্কিত সচেতনতাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

গত ৪ জুলাই থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার পর শুক্রবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছ ওয়ারীর লকডাউন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআর (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা না থাকায় এবং প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণের হার তৃতীয় সপ্তাহে এসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়ার কারণেই লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন- সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, ওয়ারীতে বাড়ছে না লকডাউনের সময়

শুক্রবার রাতে ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, লকডাউন তুলে নেওয়া হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে মাইকিং করা হচ্ছে। মসজিদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো থেকেও দিনব্যাপী এ বিষয়ে বারবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এসব ঘোষণায় সরকার থেকে মাস্ক পরার বাধ্যতামূলক বিধানের কথাও বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এছাড়া লকডাউন এলাকায় করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের বুথ এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহসহ লকডাউনের সময় চালু থাকা অন্যান্য সেবাও ৩০ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি। সংস্থাটি জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর নতুন করে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

এর আগে, গত ৪ জুলাই থেকে ওয়ারীর আটটি এলাকায় ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই দিন থেকে শুরু করে ২২ জুলাই পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার জন্য মোট ৩০৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৮০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, অর্থাৎ তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এর বেশিরভাগই প্রথম ১০/১২ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন। শেষ দিনগুলোতে সংক্রমণের হার ছিল অত্যন্ত কম। এই ৩০৯টি নমুনার বাইরেও ২৩ ও ২৪ জুলাই বেশকিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট এখনো আসেনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন