বিজ্ঞাপন

‘মাজেদকে দিয়ে মিথ্যাচার করিয়ে জিয়াকে খাটো করা হচ্ছে’

August 18, 2020 | 5:33 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর হওয়া মাজেদকে দিয়ে মিথ্যাচার করিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে খাটো করার ‘অপচেষ্টা’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে দিয়ে বন্দি অবস্থায় দেশের আইন, আদালত, শাসনব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সরকারের মুসাবিদায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ধারণকৃত ভিডিও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারে বাধ্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে বেতনভুক্ত সাইবার ফোর্স নিয়োগ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ১৫ আগস্ট হত্যা মামলার সকল আসামিদেরকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করা এবং রায় কার্যকর করার পর্ব প্রায় সম্পন্ন হতে চলেছে। এমতাবস্থায় আইনিভাবে এ ধরনের বক্তব্যের কোনো সাক্ষ্যমূল্য নাই। এ ধরনের পদক্ষেপ বরঞ্চ সংঘটিত বিচারপ্রক্রিয়া ও রায়কে নতুনভাবে বিতর্কিত করে তুলতে পারে। আইনবিরোধী এ ধরনের পদক্ষেপ আসলে অপরাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মাজেদের কথিত জবানবন্দিতে বয়ান করা হয়েছে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের জিয়াউর রহমান বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও ১৯৭৫-এর ঘটনার নায়কদের ইনডেমনিটির রেফারেন্স দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। অথচ জাতি জানে, ওই সময়ের ঘটনার নায়কদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক কর্তৃক, জিয়াউর রহমান নয়।’

‘এই অধ্যাদেশটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ ৫০ নামে অভিহিত। ‘দ্য বাংলাদেশ গেজেটে’ প্রকাশিত অধ্যাদেশটিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এইচ রহমানের স্বাক্ষর রয়েছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- জিয়াউর রহমানকে ঘিরে এই অপপ্রচার সম্পূর্ণই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার। মাজেদকে দিয়ে মিথ্যাচার করিয়ে জিয়াকে খাটো করার অপচেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু মাজেদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সত্যকে মিথ্যা করা যাবে না।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি ও জিয়া পরিবারের প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনকে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় মোকাবিলা না করে বর্তমান সরকার শুরু করেছে ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত। জনগণের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার তথা মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার সংগ্রামে আজ বিএনপিই জনগণের কাছে একমাত্র ভরসা। সে কারণেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করার এক ব্যর্থ অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার।’

‘দেশে বিরাজমান নৈরাজ্য, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট ও মানবাধিকার বিরোধী গুম-খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্যই তারা এই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সারাবাংলা/এজেড/এমআই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন