বিজ্ঞাপন

পাবনা-৪ আসনে উপনির্বাচন ২৬ সেপ্টেম্বর

August 23, 2020 | 5:45 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে পাবনা-৪ শূন্য আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বলেও ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই দুই নির্বাচনের তফসিল পরে ঘোষণা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৩ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের ৬৮তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

মো. আলমগীর বলেন, পাঁচ শূন্য সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কমিশন সভায় আলোচনা হয়েছে। পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল আজই ঘোষণা করা হচ্ছে। ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে। আর ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন নির্ধারিত সময়ের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য যথাসময়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এদিকে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, পাবনা-৪ (ইশ্বরদী ও আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনে মনোননয়পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ৩ সেপ্টেম্বর। বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হলে তার বিরুদ্ধে আপিল দাখিল করা যাবে ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ৭ সেপ্টেম্বর আপিল নিষ্পত্তির পর ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন প্রার্থীরা। এরপর বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণের পর তারা প্রচারণা চালাতে পারবেন ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

ইসি সচিব জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে এই উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাবনা সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা ও রাজশাহীর অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমানকে আটঘরিয়া উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাবনা-৪ (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) আসনের সংসদ সদস্য ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। তার মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় অনুযায়ী সংসদ ভেঙে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিধান আছে। তবে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন না করা গেলে ইসি আরও ৯০ দিন সময় পায়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এই আসনটি শূন্য হয়ে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে পারেনি ইসি। এবার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন আয়োজনের তফসিল ঘোষণা করা হলো।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন