বিজ্ঞাপন

চেলসির নেই এফএফপি’র ভয়!

August 27, 2020 | 11:08 am

স্পোর্টস ডেস্ক

এই তো ক’দিন আগেই ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে-এফএফপি ভঙ্গ করায় আদালত পর্যন্ত দৌড়াতে হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটিকে। নিজেদের আয়ের থেকে খেলোয়াড় কেনার পেছনে বেশি ব্যয় করলে ভঙ্গ হয় এফএফপি। তবে এবার কি সেই পথেই হাঁটছে না চেলসি এফসি? ইতোমধ্যেই লন্ডনের ক্লাবটি হাকিম জিয়েচ, ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ, টিমো ভার্নার, বেন চিলওয়েলের মতো তারকাদের দলে ভিড়িয়েছে। আর আলোচনা চলছে বায়ার লেভারকুজেন থেকে কাই হার্ভাটজকেও দলে ভেড়ানোর। সব মিলিয়ে এই দলবদলের মৌসুমেই বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করছে চেলসি।

বিজ্ঞাপন

তবে তাদের কি চিন্তায় এফএফপি নেই? তবে চেলসির এফএফপি ভঙ্গের প্রশ্নের আগে নজর দিতে হবে খেলোয়াড় বিক্রি করে তাদের উপার্জনের দিকেও। তবে এদিকে ভুলে গেলে চলবে না চেলসি দলবদলের মৌসুমে নিষিদ্ধও ছিল। আর সেবার কোনো অর্থ খরচ না হওয়ায় তাদের আগে থেকেই কিছু অর্থ গোচ্ছিত ছিল। এবার সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও অর্থ।

আগে দেখে নেওয়া যাক চেলসির খেলোয়াড় বিক্রি করে উপার্জিত অর্থের পরিমাণ- (খেলোয়াড় বিক্রি করে পাওয়া অর্থের পরিমাণ নিশ্চিত করা হয়েছে ইউরোপিয়ান গণমাধ্যম থেকে)

এডেন হ্যাজার্ড- রিয়াল মাদ্রিদ রেকর্দ পরিমাণ অর্থ প্রদান করে হ্যাজার্ডকে ২০১৯ সালের জুনে দলে ভিড়িয়েছে। তার জন্য ১০০ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করেছে রিয়াল। আর সেই সঙ্গে নানান শর্তে ইতোমধ্যেই আরও ২৫ মিলিয়ন ইউরো চেলসিকে দিয়েছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। চেলসির সঙ্গে রিয়ালের চুক্তিতে ছিল হ্যাজার্ড লা লিগা জিতলে আরও ২৫ মিলিয়ন ইউরো চেলসিকে প্রদান করবে গ্যালাক্টিকোরা।

বিজ্ঞাপন

আলভারো মোরাতা: রিয়াল মাদ্রিদের কাছ থেকে ৬৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আলভারো মোরাতাকে কিনেছিল চেলসি, সেটি ২০১৭ সালের কথা। তবে চেলসিতে ব্যর্থ হওয়ার পর তাকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে বিক্রি করে চেলসি। এবার অবশ্য ১০ মিলিয়ন ইউরো লোকসান গুনে ৫৬ মিলিয়ন ইউরোতে মোরাতাকে বিক্রি করতে পারে ব্লুজরা।

মারিও পাসালিচ: ক্রোয়েশিয়ান সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার মারিও পাসালিচকে ২০১৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টাতে ধারে খেলতে পাঠায় চেলসি। আর এক মৌসুম পর ধার শেষ হওয়ায় ১৫ মিলিয়ন ইউরোতে আটালান্টার কাছে বিক্রিও করে দেয় ব্লুজরা।

এছাড়াও, জেরেমি বগা: ১৫ মিলিয়ন, তারিক ল্যাম্পটি: ৩.৩ মিলিয়ন এবং নাথান: ২.৭ মিলিয়নে বিক্রি করে চেলসির মোট আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৭ মিলিয়ন ইউরো।

বিজ্ঞাপন

তালিকার এই খেলোয়াড়দের ইতোমধ্যেই বিক্রি করে দিয়েছে চেলসি, আর ভবিষ্যতে বিক্রির তালিকায় আরও আছেন আরিজাবালাগা কেপা (৩৫ মিলিয়ন), অ্যান্তোনিও রুডিগার (৪০ মিলিয়ন), কোর্ট জুমা (৩০ মিলিয়ন), আন্দ্রেস ক্রিশ্চিয়ানসেক (২৫ মিলিয়ন), এমারসন (২৫ মিলিয়ন), মার্কোস আলোন্সো (২০ মিলিয়ন), ড্রিংকওয়াটার (১০ মিলিয়ন), বাকায়োকো (৩০ মিলিয়ন), মোজেস (১৫ মিলিয়ন), বাতসুয়াইর (৩০ মিলিয়ন) মতো খেলোয়াড়দের বিক্রি করেও নতুন খেলোয়াড়দের জন্য জায়গা এবং অর্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে চেলসির। (ট্রান্সফারমার্কেট ওয়েবসাইটের মার্কেট ভ্যালু ধরা হয়েছে এই খেলোয়াড়দের জন্য) এই খেলোয়াড়দের বিক্রি করে চেলসি পেতে পারে ৩৯০ মিলিয়ন ইউরো। তবে এক মৌসুমে ক্লাবের সম্পূর্ণ স্কোয়াড বিক্রি করে নতুন দল গঠন করাটা কেবল খাতা কলমেই সম্ভব।

এবার তবে দেখে নেওয়া যাক খেলোয়াড় কেনার পেছনে চেলসির খরচের পরিমাণ:

চেলসি ইতোমধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদ থেকে মাতেও কোভাসিচ এবং বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচকে দলে ভিড়িয়েছে। যাদের জন্য চেলসিকে গুণতে হয়েছে যথাক্রমে ৪০ মিলিয়ন এবং ৬৪ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়া ২০১৯/২০ মৌসুম শেষ হওয়ার পর চেলসি আরও দলে ভিড়িয়েছে আয়াক্স থেকে হাকিম জিয়েচ, আরবি লেইপজিগ থেকে টিমো ভার্নার এবং লেস্টার সিটি থেকে বেন চিলওয়েলকে। তাদের জন্য যথাক্রমে চেলসিকে গুণতে হয়েছে, ৪০ মিলিয়ন, ৫৩ মিলিয়ন এবং ৫০ মিলিয়ন ইউরো। সব মিলিয়ে এই দলবদলের মৌসুমে চেলসির খরচ দাঁড়িয়েছে ২৪৭ মিলিয়ন ইউরো।

অর্থাৎ চেলসির খেলোয়াড় বিক্রি করে উপার্জনের পরিমাণ ২১৭ মিলিয়ন আর খরচ ২৪৭ মিলিয়ন ইউরো। যেখানে চেলসির নেট স্পেন্ডিং হচ্ছে মাত্র ৩০ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ ক্লাবের অ্যাকাউন্ট থেকে এখন পর্যন্ত চেলসির খরচের পরিমাণ মাত্র ৩০ মিলিয়ন ইউরো। চেলসির অতিরিক্ত অর্থ খরচ করার মতো অর্থনৈতিক সক্ষমতা রয়েছে। অবশ্য কেবল আর্থিক দিক থেকেই চেলসি এফএফপিকে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে তা নয়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবছর এফএফপি শিথিল করা হয়েছে বলেও জানান দিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন