বিজ্ঞাপন

করোনার বিরতি ভালোই হয়েছে কোহলির জন্য!

September 1, 2020 | 7:16 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট বন্ধ হয়েছিল সেই মার্চে। বেশিরভাগ ক্রিকেটখেলুড়ে দেশে এখনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট অনুপস্থিত। অনেক সিরিজ, টুর্নামেন্ট অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আবার বাতিলও হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে আফসোস হচ্ছে ক্রিকেটসংশ্লিষ্টদের। অনেক ক্রিকেটার মনে করছেন, ক্যারিয়ার থেকে অর্ধেক বছর মাইনাস হয়ে গেল। কিন্তু বিরাট কোহলি বলছেন, করোনার বিরতিটা তার জন্য ভালোই হয়েছে!

বিজ্ঞাপন

২০০৮ সালে ভারতের ওয়ানডে দলে অভিষেক হওয়া কোহলির টি-টোয়েন্টি অভিষেক ২০১০ সালে, টেস্টে ২০১১ সালে। তবে বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই তারকা বলে ক্রিকেটে তার ব্যস্ততা অনেক আগের। গত ১০-১২ বছর ধরেই টানা ক্রিকেট খেলতে হয়েছে ভারতীয় অধিনায়ককে। করোনার এই বিরতিটা তাকে বিশ্রামের সুযোগ করে দিয়েছে মনে করছেন কোহলি।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসর শুরু হওয়ার কথা সপ্তাহ তিন পর থেকে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক সেই লক্ষ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন কদিন আগে। অনুশীলনের ফাঁকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেছেন, ‘সব ঠিক আছে। যতটা ভেবেছিলাম ক্রিকেট ততোটা মিস করিনি। সম্ভবত গত ৯-১০ বছরের মধ্যে এটাই আমার একমাত্র লম্বা সময়ের বিরতি। এটা আমার জন্য অনেকটা নিঃশ্বাস ফেলার মতো হয়েছে। অবাক করা ব্যাপার, খেলা মিস করার ভাবনাটি আমাকে ঝেঁকে ধরেনি। আমি অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে বুঝে নিয়েছি এরকমটা জীবনেরই অংশ।’

গত মার্চে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ভারতে চলে গিয়েছিল। বৃষ্টি না হলে ওয়াডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটা অনুষ্ঠিতও হয়ে যেত। করোনা ভারতীয় ক্রিকেট থামিয়ে দিয়েছে সেখানেই। মহামারী তারপর এমন প্রকোপ আকার ধারন করল যে কোহলি ভাবতেই পারেননি আইপিএল দিয়ে খেলায় ফিরতে পারবেন তিনি, ‘কয়েক মাস আগে কল্পনা করিনি যে প্রথমেই আইপিএল খেলব। এরপর সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করল, কয়েকটি টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াল। সেসব থেকে কিছুটা আত্মবিশ্বাস পেলাম। গতকাল যখন আমরা অনুশীলন করছিলাম, তখন মনে হলো যে কতদিন পার হয়ে গেছে। অনুশীলনে যাওয়ার সময় কিছুটা নার্ভাস লাগছিল, দুঃশ্চিন্তা হচ্ছিল।’

বিজ্ঞাপন

ভারতের করোনাপরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, ফলে এবারের আইপিএল আয়োজন করা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। করোনাকালের টুর্নামেন্টে স্বাভাবিকভাবেই মাঠে দর্শকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোহলি জানালে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত তিনি, ‘এটা যে একটু কঠিন হতে যাচ্ছে তা অস্বীকার করতে চাই না। এটা অদ্ভুত হতে যাচ্ছে। বলে মারার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিধ্বনি হবে। ২০১০ সালের রঞ্জি ট্রফির খেলার পর আর কখনো এমন হয়নি। শেষবার এই অভিজ্ঞতা ছিল ১০ বছর আগে। যখন কোন দর্শক ছাড়া আমি খেলেছি।’

সারাবাংলা/এসএইচএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন