বিজ্ঞাপন

‘সড়ক-ফুটপাত মগের মুল্লুক নয়, বেদখল হলেই কঠোর ব্যবস্থা’

September 7, 2020 | 9:48 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর সড়ক ও ফুটপাত দখল হলে দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সড়ক-ফুটপাত মগের মুল্লুক নয়। এখন থেকে কোনো সড়ক কিংবা ফুটপাত বেদখল হলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কোনো নির্মাণ সামগ্রী তথা অন্য কোনো কিছু সড়ক বা ফুটপাতে ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে সেসব মালামাল নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- অভিযানে বেরিয়ে ফুটপাতে রাখা রড নিলামে বিক্রি করে দিলেন মেয়র আতিক

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসি এলাকায় সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে এসব কথা বলেন মেয়র। এদিন দিনভর মেয়র নিজে মাঠে নেমে ডিএনসিসির ৩২টি স্থানে সড়ক ও ফুটপাতে থাকা মালামাল নিলামে বিক্রি করে ১৩ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ টাকা এবং জরিমানা বাবদ ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আদায় করা করেন। সেই সঙ্গে ১২শ অবৈধ স্থাপনা, টং দোকান, শেড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ শহরটা তো মগের মুল্লুক নয় যে ইচ্ছামতো ভোগ করবে। সবার জানা উচিত, এ শহরে নিয়ম আছে। আইন আছে। কিন্তু কেউ যদি মগের মুল্লুক মনে করে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাতে চায়, তবে আমরাও বসে থাকব না। অ্যাকশন কিন্তু নেব, যা আজ থেকে শুরু।

মেয়র আতিক বলেন, আমি গত আশুরার দিন সকালে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে বেরিয়েছিলাম। তখন দেখেছি, ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ইট-বালি-রডসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী রাস্তায়, ফুটপাতে রেখে দিয়েছে। তখন আমরা বলেছিলাম, ৭ তারিখ, থেকে অর্থাৎ আজ থেকে ১০টি অঞ্চলে একযোগে সারাদিন এই অভিযান চলবে। আপনারা নিজেরা দেখুন— বড় বড় অট্টালিকা করছে, অট্টালিকা হবে, সেটা ভালো কথা। কিন্তু আমাদের সিটি করপোরেশনের ফুটপাতের মধ্যে কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে, আইনকে কোনো ধরনের সম্মান না জানিয়ে, তারা নির্মাণসামগ্রী রেখে দিচ্ছে। এজন্য আমাদের ফুটপাত ভেঙে যাচ্ছে। আমরা বলেছি, তারপরও তারা আইনকে তোয়াক্কা করছে না। তাই আমি আমার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছি, আজ যেখানে যে অবস্থায় ফুটপাত ও সড়কে নির্মাণসামগ্রী পাওয়া যাবে, আইন অনুযায়ী এগুলো নিলাম করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিলাম শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মেয়র আরও বলেন, আপনারা ব্যবসা করবেন, ব্যবসা করুন। কিন্তু কেন ফুটপাত ও রাস্তার মধ্যে নির্মাণসামগ্রী রাখবেন? এগুলো রাখার ফলে ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। আমি সবাইকে সতর্ক করে বলতে চাই, এই অভিযান প্রতি সপ্তাহে একদিন পরিচালিত হবে।

এসময় অবৈধ বিলবোর্ড সম্পর্কে মেয়র বলেন, আমি আরেকটা বার্তা দিতে চাচ্ছি আপনাদের মাধ্যমে— ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্রভাবে সাইনবোর্ড, বিলবোর্ডে ভরে গেছে। সাইনবোর্ডের জন্য কেউ কোনো পারমিশন নিচ্ছেন না। আমি বিনয়ের সঙ্গে আপনাদেরকে অনুরোধ করছি— আপনারা নির্ধারিত ট্যাক্স সিটি করপোরেশনে দিয়ে তারপর সাইনবোর্ড লাগাতে পারেন। যেকোনো ধরনের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ডে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে ট্যাক্স দিয়ে তারপর লাগাতে পারবেন। তা না হলে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে যত ধরনের সাইনবোর্ড আছে, সে সাইনবোর্ডও উচ্ছেদ শুরু হবে। অতিরিক্ত সাইনবোর্ড লাগিয়ে অনেকে ঢাকা শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করছেন— এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন। আমাদের অভিযান চলবেই। আমি আবারও বলছি, অভিযানের সময় সড়ক ও ফুটপাতে নির্মাণসামগ্রী বা অন্য কোনো সামগ্রী থাকলে তা নিলাম হয়ে যাবে।

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন