বিজ্ঞাপন

মাঠে লড়বে চেলসি-লিভারপুল, ডাগ আউটে ল্যাম্পার্ড-ক্লপ

September 20, 2020 | 11:43 am

স্পোর্টস ডেস্ক

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় সপ্তাহেই জমজমাট লড়াই। মাঠের লড়াইয়ের সজ্ঞে সঙ্গে এদিন ডাগ আউটের লড়াইটাও হবে জমজমাট। চেলসি কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড এবং লিভারপুল কোচ ইয়্যুর্গেন ক্লপের মাঠের বাইরের কথার লড়াইটা মৌসুম শুরুর আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এবার পালা নিজেদের দলের মাঠের লড়াইটা আরও জমজমাট করে তোলা। মৌসুমের প্রথম বিগ ম্যাচে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে আতিথ্য দেবে চেলসি।

বিজ্ঞাপন

২০২০/২১ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল নতুন মৌসুমে যাত্রা শুরু করে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে। প্রথম ম্যচে নবাগত লিডসের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াইয়ে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জয় পায় তারা। আর চেলসি নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্রাইটনকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শুরু করে নতুন মৌসুমে। অর্থাৎ দুই দলই আছে জয়ের ধারায়।

শেষবার ২৩ জুলাই অ্যানফিল্ডে মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল এবং চেলসি, দুর্দান্ত সেই ম্যাচটি শেষ হয়েছিল অলরেডদের ৫-৩ গোলের জয়ের মধ্য দিয়ে। সে ম্যাচেই ডাগ আউটে থাকা ল্যাম্পার্ড এবং ক্লপ দুজনে জড়িয়ে পড়ে বাক-বিতণ্ডায়। সাইডলাইনে এদিন ক্লপের ওপর বেশ চড়াও হয়েছিলেন ল্যাম্পার্ড। ম্যাচ শেষে ল্যাম্পার্ডকে লিভারপুল কোচ ইয়্যুর্গেন ক্লপ রাগ সংবরণের পরামর্শও দিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আর সেখান থেকেই যেন এই দুইয়ের দ্বৈরথ শুরু। যেন সেদিনই বনে গেলেন একে অপরের শত্রু। এরপর দলবদলের মৌসুমে চেলসির টাকা ঢালা নিয়ে বেশ তাচ্ছিল্য করেছিলেন ক্লপ। আর ক্লপের এমন ব্যবহারকে হাস্যকর বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ল্যাম্পার্ড। সংবাদ সম্মেলনের কথার লড়াই শেষ এবার পালা মাঠের লড়াইয়ে। আর তাই তো এই ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছে।

লিডসের বিপক্ষে ম্যাচেই লিভারপুলের রক্ষণের দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে বেশ। তবে আক্রমণভাগে মোহাম্মদ সালাহর হ্যাটট্রিকে শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলে জয় পায় অলরেডরা। এদিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে রক্ষণ সামলে আক্রমণ দিয়ে ব্রাইটনকে কুপোকাত করেছে চেলসি। তবে চেলসির তরুণ আক্রমণভাগের এবার পরীক্ষা লিভারপুলের রক্ষণভাগ ভাঙার। এ মৌসুমে অলরেডদের রক্ষণের শুরুটা বাজে হলেও গেল মৌসুমে দুর্দান্ত ছিল ভ্যান ডাইকরা। এদিকে নতুন মৌসুমে চেলসির আক্রমণে নতুন সেনানী।

আরবি লেইপজিগ থেকে টিমো ভার্নার, আর এই ভার্নারকে নিয়ে মাঠের বাইরেই চেলসি ও লিভারপুলের মধ্যে দেখা গেছে লড়াই। ভার্নারকে দলে ভেড়ানোর বেশ কাছে পৌঁছে গিয়েছিলে ক্লপের দল। জার্মান এই ফরোয়ার্ডকে নিজেই পছন্দ করেছিলেন ক্লপ তবে শেষ পর্যন্ত লিভারপুলের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয় ল্যাম্পার্ডের ব্লুজরা। আর আজই লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে নামবেন ভার্নার।

বিজ্ঞাপন

কেবল ভার্নারই নন, এদিন বায়ার লেভারকুজেন থেকে আসা কাই হাভার্টজকেও দেখা যাবে লিভারপুলের বিপক্ষে। তবে এখনও বেশকিছু খেলোয়াড়কে দলে পাচ্ছেন না ল্যাম্পার্ড। তরুণ আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ এবং হাকিম জিয়েচ ইনজুরির কারণে এখনও মাঠের বাইরে। আর নতুন খেলোয়াড়দের পেছনে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচের পর এই ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে জিততে না পারলে আরও একবার সমালোচনার মুখে পড়বেন ল্যাম্পার্ড। অন্যদিকে এই ম্যাচে জিতলে প্রথম ম্যাচের পর অলরেডের রক্ষণ নিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলোর থেকেও রেহাই মিলতে পারে।

লিগে প্রথম ম্যাচ বিবেচনায় নিলে দুই দলই রক্ষণের তুলনায় আক্রমণে এগিয়ে থাকাতেই জয় পেয়েছে। আর তাই তো স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আক্রমণাত্মক এবং হাই-স্কোরিং ম্যাচ দেখার আশা সমর্থক এবং দর্শকদের।

দুই দলের খবর:

বিজ্ঞাপন

চেলসি:

অল ব্লুজদের স্কোয়াডে নতুন যোগ দেওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে হাকিম জিয়েচ, থিয়াগো সিলভা এবং বেল চিলওয়েলরা থাকবেন না সেটা জানা গেছে আগেই। ইনজুরির কারণে চিলওয়েল, জিয়েচ এবং পুলিসিচকে পাচ্ছেন না ল্যাম্পার্ড। আর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলা সিলভা থাকবেন না বিশ্রামে থাকার কারণে।

লিভারপুল:

এদিকে করোনামুক্ত হয়ে দলে ফিরেছেন লিভারপুলের নতুন মুখ কস্তাস সিমিকাস। আর বায়ার্ন মিউনিখ থেকে সদ্যই অ্যানফিল্ডে নাম লেখানো থিয়াগো আলকান্তারা এখনো দলের সঙ্গে অনুশীলন না করায় এই ম্যাচে থাকবেন না। এছাড়া চোটের কারণে ওক্সলেড-চেম্বারলেইনকেও পাচ্ছে না। তবে চোট থেকে ফিরে এই ম্যাচের স্কোয়াডে থাকতে পারেন ফরোয়ার্ড জার্দান শাকিরি।

দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ:

চেলসি:

গোলরক্ষক: কেপা আরিজাবালাগা।

রক্ষণভাগ: রিস জেমস, অ্যান্দ্রেস ক্রিশ্চিয়ানসেক, কার্ট জুমা, চেজার আজপিলিকুয়েতা।

মধ্যমাঠ: এনগোলো কান্তে, মাতেও কোভাচিচ, রস বার্কলি।

আক্রমণভাগ: কাই হার্ভাটজ, মেসন মাউন্ট এবং টিমো ভার্নার।

লিভারপুল:

গোলরক্ষক: অ্যালিসন বেকার।

রক্ষণভাগ: ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড, জোসেপ গোমেজ, ভার্জিল ভ্যান ডাইক এবং অ্যান্ড্রিউ রবার্টসন।

মধ্যমাঠ: জর্জিনিও উইনাল্ডম, ফ্যাবিনহো এবং জর্ডান হ্যান্ডারসন।

আক্রমণভাগ: সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনো এবং মোহামদ্দ সালাহ।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন