বিজ্ঞাপন

ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু ৪ অক্টোবর, চলবে ২ সপ্তাহ

September 23, 2020 | 10:18 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগামী ৪ অক্টোবর থেকে সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে ‘ভিটামিন এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ছয় মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এবার দেশের এক লাখ দুই হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে এই ক্যাম্পেইন চলবে। ক্যাম্পেইন শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত আরও চার দিন দুর্গম এলাকায় চলবে এই ক্যাম্পেইন।

বিজ্ঞাপন

এক্ষেত্রে করোনাভাইরাস পজিটিভ হলেও শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এস এম মুস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, এ বছর অন্যান্য বছরের মতো কোনও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকছে না।

ডা. এস এস এম মুস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বছর প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দুই লাখ ৯৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একেক দিন একেক কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তিন দিন আগে স্থানীয় প্রশাসন এই সূচি ঘোষণা করবে।

বিজ্ঞাপন

শুধু শ্বাসনালীর অসুস্থতা বা শ্বাসকষ্ট অথবা অন্য কোনো মারাত্মক অসুস্থতা না থাকলে সে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানান ডা. এস এস এম মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ক্যাম্পেইন চলাকালে ছয় মাসের কম বয়সী শিশু, পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশু, চার মাসের মধ্যে ভিটামিন এ প্রাপ্ত শিশু ও অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

তিনি বলেন, সারাদেশে এক লাখ ২০ হাজার ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র আছে। প্রতিবছর ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের সময় আরও ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। তবে এবার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো থাকছে না। প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও অতিরিক্ত দু’জন করে মোট দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে।

ডা. এস এস এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, যেসব শিশু ভ্রমণে থাকবে, তাদের চার থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে আট দিন ক্যাম্পেইন চলাকালীন নিকটবর্তী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র থেকে নিজ দায়িত্বে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পেইন চলাকালে কোনো শিশু বাদ পড়লে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে। ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের এক লাখ মাত্রার একটি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে দুই লাখ মাত্রার একটি লাল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

বিজ্ঞাপন

এক লাখ মাত্রার নীল রঙের ক্যাপসুল জার্মানি থেকে এবং দুই লাখ মাত্রার লাল রঙের ক্যাপসুল দেশীয় কোম্পানি রেনেটা ও গ্লোবাল ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. এস এস এম মুস্তাফিজুর রহমান। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি সত্ত্বেও ৯০ শতাংশ শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের আগের দিনে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোর ওয়ার্ডে মাইকিং করা হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পেইনের আগের শুক্রবারে জুমার নামাজের আগে মসজিদের ইমাম/খতিব ভিটামিন এ’র প্রয়োজনীয়তা মুসল্লিদের অবহিত করবেন। এছাড়া অন্যান্য উপাসনালয়ের মাধ্যমেও বার্তা পাঠানো হবে। বাদ পড়া শিশুদের মধ্যে দুর্গম এলাকায় ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর শিশুদের প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে টিকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন