বিজ্ঞাপন

‘প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্তেই করোনায় বড় বিপর্যয় এড়িয়েছে দেশ’

October 13, 2020 | 8:29 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সময়ে নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্তেই করোনায় বড় বিপর্যয় এড়িয়েছে বাংলাদেশ। দেশের করোনাসংকট মোকাবিলা নিয়ে ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের বিশেষ ওয়েবিনার বক্তাদের আলোচনায় এই মত উঠে এসেছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় এই ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে যুক্ত হন– শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই অনলাইন সভায় উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘করোনা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। যেখানে বিভিন্ন দেশে এখনো মৃতের সংখ্যা বাড়ছে সেখানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় অনেকটাই ভালো অবস্থানে উঠে এসেছে। যেখানে অনেক উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি এখন ঋনাত্নকের দিকে চলে গেছে সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের মতোই সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা মোকাবিলায় মাত্র ১৫ দিনে ২০০০ ডাক্তার ও ৫০০০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ যেই নিয়োগ হতে আমাদের এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যেতো। একজন বিচক্ষণ নেতা যখন থাকে তখন যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব। দেশ এগিয়ে যায়। করোনা সেকেন্ড ওয়েব এর যে সম্ভবনার কথা বলা হচ্ছে তার জন্যেও আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা জেলা কমিটিকে চিঠি দিয়েছি মানুষকে সচেতন করার জন্যে এবং সব ধরণের ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করছি।’

বিজ্ঞাপন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘লকডাউনের শুরু থেকেই মানুষকে ঘরমুখী করার জন্য আমাদের প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে কাজ করা শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণতার সাথে কোন কাজটি কখন করতে হবে, বিশ্বে কোথায় কি হচ্ছে সব কিছু স্টাডি করে তিনি বার বার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশনা দেন। জেলা উপজেলায় মানুষকে সচেতন করতে আমাদের জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা এগিয়ে এসেছে। লাশ দাফন থেকে শুরু করে ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে সাধারণ ছুটির মধ্যে এবং আমাদের দলের কর্মীরাও আন্তরিকতার সাথে একেবারে গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত ত্রাণ থেকে শুরু করে সব ধরনের সাহায্য করেছে। এমনকি বন্যা পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মিলে ৬৬টি দিন সাধারণ ছুটির মধ্যে খাবার, অর্থ সহয়তা করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে সকলের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শীতায় আজকে আমরা দক্ষতা ও যোগ্যতার বিষয় তৈরি করতে পেরেছি।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন- দরিদ্র, অসহায় এবং কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহয়তায় ব্যবস্থার জন্য। এরপরে আমরা ১ কোটি ২৫ লক্ষ্যের একটি ডাটাবেজ তৈরি করে খাদ্য সহয়তা প্রদান করি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২ লক্ষ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টণ চাল, ৯৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা নগদ এবং শিশু খাদ্যের জন্য আমরা ২৭ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা আমরা দিয়েছি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসবে এমন মন্তব্য করছে বিশেজ্ঞরা, যত বড় বিপদ আসুক আমরা জনগণের পাশে আছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সকল কাজ ঠিকমতো পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্স করে সব কাজের খোঁজ খবর নিয়েছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা প্রতি ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার দুরদর্শী নেতৃত্বে ক্ষুধায় কেউ মারা গেছে এমন খবর পাওয়া যায়নি। উনার জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় আমরা করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। এই করোনায় গত আট মাসে বাংলাদেশ ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা আয় করতে সক্ষম হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন