বিজ্ঞাপন

তুলে নিয়ে কিশোরীকে বিয়ে, কাজিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

October 27, 2020 | 9:10 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাজবাড়ী: বেড়াতে যাওয়ার পথে কিশোরীর তুলে নিয়ে, বয়স ১৮ বছর দেখিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মাহাবুবুর রহমানসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ১৮ অক্টোবর ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে রাজবাড়ীর ২নং আমলি আদালতে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ৭(১)/৮/৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নিকাহ রেজিস্ট্রার মাহাবুবুর রহমান ছাড়াও বর, সাক্ষী ও বিয়ের উকিলদের আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মেঘনা গ্রামের আ. মান্নান মোল্লার ছেলে শামীম মোল্লা, যশাই ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মাহাবুবুর রহমান, মেঘনা গ্রামের শফিকুল ইসলাম, আতিয়ার মোল্লা, সাকদাহ গ্রামের নজরুল ইসলাম, লক্ষীপুর গ্রামের জামাল প্রামানিক, বলরামপুর গ্রামের ফজলু প্রামানিক ও নিভা এনায়েতপুর গ্রামের জাহিদুর রহমান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের প্রবাসীর মেয়ে ওই কিশোরী সমসপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা শেষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সে তার নানাবাড়ি পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মেঘনা গ্রামে বেড়ানোর উদ্দেশে রওনা হয়। পথে মাছপাড়া খামারপাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় এলে শামীম মোল্লা ও তার সহযোগিরা ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে।

বিজ্ঞাপন

এরপর ওই রাতেই তারা তাকে যশাই ইউনিয়ন কাজী অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে রেজিস্ট্রি কাবিননামামূলে শামীম মোল্লার সাথে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়েতে কাবিননামা করেন মামলার ২নং আসামি যশাই ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মাহাবুবুর রহমান ও বিয়ে পড়ান মামলার ৮নং আসামি জাহিদুর রহমান। বিয়ের কাবিননামায় ছেলে ও মেয়ের সাক্ষী এবং উকিল হোন মামলার অন্যান্য আসামিরা। তারা সবাই শামীম মোল্লার পরিবারের লোকজন।

বিয়েতে ওই কিশোরীর বাবা-মা উপস্থিত না থাকলেও রহস্যজনকভাবে তাদের কথিতমতে কাবিননামায় কিশোরীর বয়স দেখানো হয় ১৮ বছর। অথচ ওই কিশোরীর জন্মসনদ অনুসারে সেদিন তার বয়স ছিলো ১৬ বছর ১মাস ১৭দিন।

নিকাহ রেজিস্ট্রার মাহাবুবুর রহমানের কাছে কাবিন রেজিস্ট্রার দেখতে চাইলে তিনি জানান, রেজিস্ট্রারটি তার সহযোগীর কাছে রয়েছে এবং এই বিয়ের কাবিননামা তিনি করেননি। তবে ইতোপূর্বে জাহিদুর রহমান নামে এক লোক তার কাছে রেজিস্ট্রি ফরম নিতে এসেছিলেন বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন