বিজ্ঞাপন

ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকল ডর্টমুন্ড

May 2, 2024 | 3:04 am

স্পোর্টস ডেস্ক

খাতা কলমে পিএসজির চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এমনকি বর্তমান ফর্ম বিবেচনা করেও সেমিফাইনালের প্রথম লেগের আগে পিএসজিকেই ফেভারিট মেনেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মাঠের খেলায় কোনো যোগ-বিয়োগের যে পাত্তা থাকে না তা আবারও দেখাল ডর্টমুন্ড। ঘরের মাঠে পিএসজির বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ম্যাচটি শুরু হয়। ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে নিকলস ফুলক্রুগের গোলে এগিয়ে যায় বুরুশিয়া। এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে দুই দলই। শেষ পর্যন্ত ফুলক্রুগের একমাত্র গোলটিই গড়ে দেয় ব্যবধান। এতেই ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আগামী ৭ মে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে মুখোমুখি হবে দুই দল।

২০২৩/২৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে দুই দলই ছিল একই গ্রুপে। সেবারও সিগন্যাল ইদুনা পার্কে জয়ের দেখা পায়নি পিএসজি। ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয়েছিল ম্যাচটি। তবে ফাইনালের আগে এখান থেকে জয় নিয়ে ফিরতে চেয়েছিল পিএসজি। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। দারুণ জয়ে পিএসজিকে স্তব্ধ করে দিয়েছে ডর্টমুন্ড। আর তাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে এই নিয়ে টানা ১১ ম্যাচে অপরাজিত রইল ডর্টমুন্ড (৭ জয়, ৪ ড্র)।

ঘরের মাঠে ম্যাচের ১৪তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় ডর্টমুন্ড। অসুস্থতা কাটিয়ে ফেরা মিডফিল্ডার মার্সেল সাবিৎজার বল পান বক্সে। দুরূহ কোণ থেকে তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন গোলরক্ষক জানলুইজি ডনারুম্মা। প্রথমার্ধেই অবশ্য গোলের দেখা পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। ডিফেন্ডার নিকো শ্লটারবেক নিজেদের অর্ধ থেকে বল বাড়ান উঁচু করে। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে প্রথম স্পর্শে বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করেন জার্মান ফরোয়ার্ড ফুলক্রুগ।

বিজ্ঞাপন

প্রথমার্ধের শেষ দিকেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো ডর্টমুন্ড। তবে বক্সের ভেতর থেকে সাবিৎজারের জোরাল ভলি ফিরিয়ে দেন ডনারুম্মা। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি পিএসজি। এই সময়ে গোলের জন্য তাদের তিন শটের সবগুলো হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। এর মধ্যে উসমান দেম্বেলের দুটি শট যায় পোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়ে।

বিরতির পর নিজেদের ফিরে পায় পিএসজি। শুরুতেই দারুণ আক্রমণ সাজায় তারা। ৪৮তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিতে পারে তারা। বারকোলার সেই শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ৫১তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি পিএসজি। প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ থাকা কিলিয়ান এমবাপের শট লাগে দূরের পোস্টে। পরক্ষণে আশরাফ হাকিমির নিচু শট লাগে আরেক পোস্টে।

সুযোগ হাতছাড়া করে ডর্টমুন্ডও। ৬০তম মিনিটে সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। বক্সে ভালো পজিশনে বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন ফুলক্রুগ। এদিকে ম্যাচের ৭২তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পান দেম্বেলে। এমবাপের পাসে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের শট ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক। ৮০তম মিনিটে তার আরেকটি শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

বিজ্ঞাপন

নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে আরেকটি ভালো সুযোগ পায় সফরকারীরা। ভিতিনহার ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে ফাবিয়ান রুইসের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। বাকি সময়ে আর সুযোগ মেলেনি।

এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ঘরের মাঠে প্রথম লেগে হারের পরেও বার্সার মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে সেমিতে ওঠে পিএসজি। তাই তো সেমির প্রথম লেগে হারের পরেও ফাইনালের স্বপ্ন দেখতেই পারে তারা। আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে নামবে তারা। ঘরের মাঠেই ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসরের পথচলা শুরু করেছিল ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন