বিজ্ঞাপন

মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

December 12, 2020 | 5:01 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা প্রকাশ করছি সেটি সঠিক না, অনেক ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বিজ্ঞাপন

শনিবার ( ১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক জেলা ও মহানগরের কমান্ডদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অতীতে যারা কোনোরকম যাচাই-বাছাই ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেটভুক্ত হয়েছেন তাদেরটা যাচাই-বাছাই করা হবে। যে হারে এটি বাড়ছে সেটির জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি বুঝতে পারছি বিষয়টা। এ তালিকা সঠিক না, অনেক ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা। এটি সঠিক করার জন্য আমরা যদি সময় দেই আর আপনারা ( জেলা কমান্ডার) যদি দায়িত্ব নেন যে আমরা ঠিক করে দেব। আর সেই তথ্য আমাদেরকে পাঠালে আমরা সেটা ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেব।

তিনি আরও বলেন, ‘যাচাই-বাছাইয়ের যে সময় ১৯ তারিখ দেওয়া আছে সেটা স্থগিত করে আমরা সময় বাড়াবো। বিভিন্ন সময় আমাকে বলা হয় অমুক্তিযোদ্ধারা গেজেটভুক্ত হয়েছে। হয়ত ১ শতাংশ এমন হতে পারে। তাই বলছি, সুনির্দিষ্ট যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটির তদন্ত হবে। কিন্তু ঢালাওভাবে কোনো তদন্ত হবে না। যাচাই-বাছাই হবে শুধু যারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ‘২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা জামুকা আইন হয়েছে। কিন্তু আইনে বলা আছে উপজেলা যাচাই বাছাই করে নাম পাঠাবে আর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধার মিটিংয়ে অনুমোদন হবে। কিন্তু দেখা গেছে, ২০০২ সালে আইন হওয়ার পরেও আমরা যারা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি বা ছিলাম অনেক কিছু করা হয়েছে। তাই বলতে চাই, যারা যাচাই বাছাইহীনভাবে গেজেট হয়েছে শুধু তাদেরই যাচাই বাছাইয়ের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম যখন আমরা তালিকা প্রকাশ করেছি। ভারতীয় তালিকা এবং লাল তালিকাভুক্তদের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে।’

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক শাজাহান খান এমপি মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন