বিজ্ঞাপন

ভ্যাট না দিয়ে অনলাইনে আরাজের ব্যবসা, ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযান

December 28, 2020 | 8:54 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের আবাসিক ফ্ল্যাটে অবস্থিত বিদেশি পণ্যের অনলাইন আউটলেট ‘আরাজ’ এ অভিযান চালিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা। অভিযানে দেখা গেছে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটির কোনো ভ্যাট নিবন্ধন নেই। একইসঙ্গে অনলাইনে ব্যবসা করেন কিন্তু ভ্যাট নিবন্ধন নেই এমন আরও ১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দার নজরদারিতে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি জানান, ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত আরাজ অনলাইনে বিদেশি পণ্যের ব্যবসা করে আসছে।

স্থানীয় গুলশান ভ্যাট সার্কেলে এ অনলাইন ব্যবসার ভ্যাট জমার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে একজন ব্যক্তির সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার দল ২৭ ডিসেম্বর অভিযানটি করে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাজ্জাদ আলী শরীফ।

বিজ্ঞাপন

মইনুল খান আরও জানান, আবাসিক ঠিকানায় গোয়েন্দারা তাদের ভ্যাট নিবন্ধন দেখতে পায়নি। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট সার্কেলে যাচাই করে দেখা যায়, ওই সার্কেলে বিগত মাসগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক কোনো রিটার্ন জমা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি বিগত ৩ (তিন) বছর ধরে অনলাইনে অলংকার, মহিলাদের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এ অনলাইন ব্যবসার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। অভিজাত এলাকার বাসায় তারা দীর্ঘদিন ধরে দামি ও এক্সক্লুসিভ বিদেশি পণ্য বিক্রি করছে।

এদিকে ভ্যাট গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, আরাজ এর অধিকাংশ পণ্যই পাকিস্তানের তৈরি। ব্যাগেজ ও পার্সেলে এসব পণ্য এনে বাসায় বসে তারা অনলাইনে বিক্রি করছে। তবে ভ্যাট আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন না নিয়ে এবং কোনো মাসিক রিটার্ন জমা না দিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বিদেশ থেকে আনা এসব পণ্যের তারা যথাযথ শুল্ককর দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে ভ্যাট গোয়েন্দা। অভিযানকালে গোয়েন্দারা আরাজ এর প্রাঙ্গন থেকে স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রির দলিলাদি জব্দ করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির লেনদেন সম্পন্ন করছে। এরইমধ্যে ভ্যাট গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট ওই দুটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এই হিসাব আমলে নিয়ে পরবর্তীতে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

অন্যদিকে, গোপন অনুসন্ধানে জানা যায়, এজাতীয় আরো অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ব্যবসা করছে যারা ভ্যাটের আওতায় নেই। এপর্যন্ত এরকম ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। ভ্যাট আইন অনুসারে এসব প্রতিষ্ঠানর বিরুদ্ধে ভ্যাট গোয়েন্দা কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন