বিজ্ঞাপন

অনুশীলনে রোচ, গ্যাব্রিয়েলদের হুঙ্কার

January 14, 2021 | 1:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার থেকে অনুশীলনে নামছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সিরিজের সূচিতে ওই দিন থেকে তাদের অনুশীলনের কথা থাকলেও দ্বিতীয় করোনা টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেয়ে শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে তারা অনুশীলন তারা করবে। কিন্তু ১৪ জানুয়ারি সকালে হুট করেই উইন্ডিজ দলীয় সূত্র জানাল, শুক্রবার নয়, আজ সকাল ১০টা থেকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখে তারা প্রস্তুতি শুরু করবে।

বিজ্ঞাপন

তরিঘড়ি করে মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির মাঠে এসে দেখা গেল, ততক্ষণে অনুশীলনে নেমে গেছে সফরকারীরা। এবং সেই অনুশীলনে নেটে বল হাতে রীতিমতো হুঙ্কার ছাড়ছেন ক্যারিবিয় পেস ত্রয়ী; শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ ও আলজারি জোসেফ।

একাডেমির মাঠের সেন্টার উইকেটে বল হাতে শান দিচ্ছিলেন স্পিনাররায়। তার অদূরে অর্থাৎ ক্রীড়া পল্লীর একেবারে পাঁশ ঘেসে মাঠের যে অংশে নেট টাঙানো সেখানে নিবিড় অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছিলেন গ্যাব্রিয়েল, রোচ ও জোসেফ। হেড কোচ ফিল সিমন্স ছিলেন থ্রোয়ারের ভূমিকায়। তার বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের স্বাচ্ছন্দ মনে হলো বটে কিন্তু তিন পেসারদের বিপক্ষে ছিলেন নিদারুণ অসহায়।

কেমার রোচের দুধর্ষ সুইং, শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বডি লাইন বাউন্সার ও আলজারি জোসেফের বাউন্স ও সুইংয়ের মিশেলে বারবারই সতীর্থ ব্যাটসম্যান ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছিল। প্রথম দিনের নেট অনুশীলনে তারা যেন হুঙ্কারই দিয়ে রাখলেন, উইকেট যদি সামান্যতম পেস বান্ধবও হয় তাহলে আর টাইগারদের রক্ষা নেই।

বিজ্ঞাপন

রোচের সাপের ছোবলের মতো স্ট্যাম্পে ঢুকে পড়া সুইং ও গ্যাব্রিয়েলের সাঁই সাঁই করে শরীর বরাবর উঠে আসা ডেলিভারি বারবারই যেন ২০১৮ সালের সেই বিস্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছিল। সেবার জুলাইয়ে নর্থ সাউন্ডে এই দুই পেসারের আগুনে বোলিংয়ে পুড়ে খাক হয়েছিল সফরকারী বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সাকিবরা অলআউট হয়েছিল মাত্র ৪৩ রানে। ওই ইনিংসে বল হাতে কেমার রোচ নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। বকি ৫টির ৩টি মিগুয়েল কামিন্স ও ২টি নিয়েছিলেন জেসন হোল্ডার। গ্যাব্রিয়েল ছিলেন উইকেটশূণ্য। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এসে জ্বলে উঠেন গ্যাব্রিয়েল। তার ৫ উইকেট, জেসন হোল্ডারের ৩টি উইকেট ও মিগুয়েল কামিন্সের ২ উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংস বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৪৪ রানে। মাত্র তিন দিনে শেষ হওয়া এই ম্যাচে উইন্ডিজরা মাঠ ছাড়ে ইনিংস ও ২১৯ রানের বড় জয়ে।

তবে সেই ক্ষতে টাইগাররা প্রলেপ দিয়েছিল ফিরতি সিরিজ দিয়ে। ওই বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট খেলতে এলে স্পিনবান্ধব উইকেটে হোয়াইটওয়াশ হয় সফরকারী শিবির। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে এমন স্পিন ট্র্যাকেও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল।

বিজ্ঞাপন

সেই গ্যাব্রিয়েল ও রোচ এবারও এসেছেন। দেখা যাক তাদের বিরুদ্ধে সাকিব, তামিম, মুশফিকরা কতটুকু প্রতিরোধ গড়তে পারেন। সবাই হয়তো স্বীকার করবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে দল যেমনই হোক টেস্ট দলের এই তিন পেসার যে টিম বাংলাদেশকে ক্ষণে ক্ষণে কঠিন সময় উপহার দিবে। এবং এই পেসার ত্রয়ীর জন্যই সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট জয়ে কিছুটা হলেও আশাবাদী হয়ে উঠতে পারে। কেননা গত ১০ মাসে টিম বাংলাদেশ ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেললেও সাদা পোশাকের ম্যাচ একটিও খেলেনি।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন