বিজ্ঞাপন

র‍্যাবের অভিযানে ৪ সক্রিয় জঙ্গি সদস্য গ্রেফতার

February 1, 2021 | 8:01 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর পল্টন, ভাটারা এবং শেরপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র এক নারীসহ চারজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সারাবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৪’র সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিয়াউর রহমান চৌধুরী।

তিনি জানান, গত ২৩ জানুয়ারি পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতারের পর তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল থেকে ভোর রাত পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এতে এই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার মো. আব্দুল ওহাব ওরফে সিরাতুল মুস্তাকিম ওরফে হামজা বিন মুতালিব (৩০), মোছা. ঝুমুর খাতুন ওরফে রোকাইয়া ওরফে হাজ্জাজ বিন মুতালিব (১৮), গোপালগঞ্জের মো. বেলাল হোসাইন ওরফে খোরশানের মুজাহিদ ওরফে খোরশানের কালো পতাকা বাহিনী (২২) এবং শেরপুরের মো. নাজমুল (১৭)।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তাদের কাছ থেকে ‘আনসার আল ইসলাম’র বিভিন্ন ধরনের ১১টি উগ্রবাদী বই, ২১টি লিফলেট, ১৬৭টি জঙ্গিবাদী কথোকথনের প্রমাণাদি জব্দ করেছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৪ জানায়, গ্রেফতার আব্দুল ওহাব ওরফে সিরাতুল মুস্তাকিমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- তিনি একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদেশে গেলেও পরবর্তীতে দেশে ফিরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। একইসঙ্গে সংগঠনটির অপর সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন করেন। এছড়াও অন্যদের জঙ্গি মতাদর্শে উদ্বুদ্ধকরণের জন্যে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করে আসছিলেন।

অপরজন মো. বেলাল হোসাইন ওরফে খোরশানের মুজাহিদ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পল্টনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। তিনি বেশ কিছু দিন যাবৎ সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত। তিনি তাদের নিজস্ব ইলেকট্রনিক গ্রুপে ও অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি, ভিডিও এবং লিফলেট প্রচার করে আসছিলেন।

বিজ্ঞাপন

নাজমুল জানান, তিনি শেরপুরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা বেশ কিছুদিন যাবৎ ‘আনসার আল ইসলাম’র সঙ্গে জড়িত। তারা অন্যান্যদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পাশাপাশি চাঁদা ও নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলেন।

অপর সদস্য ঝুমুর খাতুন ওরফে রোকাইয়া জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পেশায় একজন ছাত্রী এবং সংগঠনে জড়িত থেকে অন্যান্যদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পাশাপাশি চাঁদা ও নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলেন। এছাড়াও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পাঁচ মাস আগে মো. আব্দুল ওহাবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা মধ্যপ্রাচ্যে যাবার পরিকল্পনা করছিল বলেও স্বীকারোক্তি দেন তিনি।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্য জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব-৪।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন