April 23, 2021 | 3:46 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রাজধানীর বাবুবাজার ব্রিজের পাশে আরমানিটোলা এলাকায় হাজি মুসা ম্যানশন নামের ৬ তলা ভবনে আগুনের ঘটনায় আহত ২০জনকে ভর্তি শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া মো. মোস্তফা (৪০) নামের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানশনে আগুন লাগে। একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট সেখানে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তন্ময় প্রকাশ ঘোষ বলেন, ‘ভোরে আরমানিটোলার আগুনের ঘটনায় ২১জন রোগী হাসপাতালে আসে। এদের মধ্যে একজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকি ২০জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
ভর্তিরতরা হলেন- একই পরিবারের আশিকুজ্জামান (২৮) তার স্ত্রী ইশরাত জাহান মুনা (২৭), মুনার বাবা ইব্রাহিম সরকার (৬০), মা সুফিয়া বেগম (৫০), মুনার ভাই জুনায়েদ (১৮)।
আরেক পরিবারের দেলোয়ার হোসেন (৫৫), স্ত্রী লায়লা বেগম (৪৫) দুই ছেলে শাফায়াত হোসেন (৩২), শাকির হোসেন (৩০), শাফায়াতের স্ত্রী মিলি আক্তার (২৩) ও তাদের দুই বছরের মেয়ে ইয়াশফা।
পাশাপাশি খোরশেদ আলম (৫০) তার স্ত্রী চেশমেয়ারা বেগম (৪৫) ও ছেলে সাখাওয়াত হোসেনকে (২৭) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এছাড়া ভবনের বাসিন্দা আকাশ (২২), আসমা সিদ্দিক (৪৫), মেহেরুন্নেছা (৫০) পাবিহা (২৬), উনশি মোল্লা (৪০) মো. ফারুক হোসেনকেও (৫৫) ভর্তি রাখা হয়েছে।
ডা. তন্ময় প্রকাশ ঘোষ বলেন, ‘ভর্তিরতদের মধ্যে আশিকুজ্জামান, ইশরাত জাহান মুনা, খোরশেদ আলম ও শাফায়েত হোসেনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। খোরশেদ আলমের ২২শতাংশ ও শাফায়েতের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাকিদের সবার শ্বাসনালী বার্ন রয়েছে, তবে সবাই স্ট্রাবল রয়েছেন।’
আরও পড়ুন:
সারাবাংলা/এসএসআর/এমও