বিজ্ঞাপন

‘সেহরির সময় প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ হয়’

April 23, 2021 | 7:24 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সময়টা ঠিক তখন ৩টা বেজে ১৫ মিনিট। ৯/১১ আরমানিটোলা ছয় তলা ভবনের পাশের নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলায় এমটিবি (মিউচুয়াল ট্রাস্ট) ব্যাংকের এটিএম বুথে ঘুমাচ্ছিলেন নিরাপত্তাকর্মী বজলুর রহমান। কিছুক্ষণ পরই তিনি সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠতেন। ঠিক এমন সময় প্রচণ্ড শব্দে একটি বিস্ফোরণ হয়। আগুনের ঝলকানি দেখে ধরফর করে উঠে দাঁড়ান তিনি।

বিজ্ঞাপন

এভাবেই হাজী মুসা ম্যানশনে আগুন লাগার মুহূর্তের কথা বর্ণনা করছিলেন পাশের নির্মাণাধীন ভবনের নিরাপত্তাকর্মী বজলুর রহমান।

বজলুর রহমান বলেন, ‘সেহরির সময় প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ হয়। আমি মনে করেছিলেন এটিএম বুথের এসি ব্লাস্ট হয়েছে। বেরিয়ে দেখি পাশের ভবন হাজী মুসা ম্যানশনে আগুন জ্বলছে। আগুন আগুন বলে চিৎকার করে দৌড়ে গিয়ে দেখি তালা দিয়ে ক্যাচিগেট লাগানো। এরপর আমি চাবি কই চাবি কই বলে চিৎকার করি। ভবনটির দারোয়ান ভেতরেই ছিলেন। বয়স তার ৬০ বছরের মতো। চাবি খুঁজতে গিয়ে তিনি আটকা পড়েন।’

এসময় বজলুর রহমানের চিৎকারে আরও দুই চারজন আসেন। কেউ একজন জিআই পাইপ নিয়ে আসেন। সেটি দিয়ে ক্যাচিগেটের তালা ভেঙে ঢুকে একজন ৪৫/৫০ বছর বয়সের লোককে উদ্ধার করা হয়। এরপর ধোঁয়ায় আর ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বজলুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ওপরের তলাগুলো থেকে অনেকে লাফ দিতে চেয়েছিলেন। আমি তাদের অনুরোধ করেছি লাভ দিয়েন না। এরপর অনেক নারী শাড়ী ও লুঙ্গি জোরা দিয়ে নামতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিপদ থাকায় সবাইকে নিষেধ করেছি হাতজোড় করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ক্রেন দিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এসময় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানলাম ওই মৃতদেহটি নিরাপত্তাকর্মীর।, যিনি চাবি খুঁজে না পেয়ে আটকা পড়েছিলেন।’

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মোট ১০ জনকে ভবনের ভেতর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।’

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

আরমানিটোলার আগুন নিয়ন্ত্রণে

এখনও জ্বলছে কেমিকেল গোডাউন, বিস্ফোরণের আশঙ্কা 

আবারও পুরান ঢাকায় কেমিকেল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

 

বিজ্ঞাপন

 

সারাবাংলা/ইউজে/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন