বিজ্ঞাপন

করোনাতেও থেমে নেই রফতানি: বাণিজ্যমন্ত্রী

May 8, 2021 | 4:19 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও রফতানি থেমে নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। করোনাভাইরাসের প্রভাব কেটে গেলে ফের রফতানি প্রবৃদ্ধির ধারায় বাংলাদেশ শক্তিশালীভাবে ফিরে আসবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে হলে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একটি পণ্যের কাঁচামাল থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রয়োজন। বাংলাদেশের রফতানিও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল। করোনার কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। এর মাঝেও রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে। আমাদের রফতানি থেমে নেই। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আবার রফতানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে।

শনিবার (৮ মে) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আইসিএবি আয়োজিত ‘ডাইভারসিফিকেশন অব বাংলাদেশ এক্সপোর্ট বাসকেট: অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন|

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের রফতানি পণ্য সংখ্যা ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি রফতানি পণ্যকে টার্গেট করে সরকার কাজ করছে। রফতানি পণ্যকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর একটি সম্ভাবনাময় রফতানি পণ্যকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

টিপু মুনশি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইসিফোরজে নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে লেদার পণ্য, প্লাস্টিক, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং— এ চারটি রফতানি পণ্য খাতকে যোগ্য করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভূমিও বরাদ্দ পাওয়া গেছে, নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে। এখানে দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ প্রদান, হাতে কলমে শিক্ষা প্রদান, ডিজাইনে বৈচিত্র্য আনা এবং পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে।

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ হওয়ার বাংলাদেশকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এজন্য সরকার কাজ করছে। বাণিজ্য সুবিধা আদায়ের জন্য পিটিএ বা এফটিএ’র মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ভুটানের সঙ্গে পিটিএ সই হয়েছে, আরও বেশকিছু দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কয়েকটির কাজ প্রায় শেষ। এখানে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আইসিএবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট আজিজ এইচ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বিসিক’র চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন, বিজিএমই’র প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুট ওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং শিপ বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হ্যান্ডিক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গোলাম আহসান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মারুফ হোসেন।

সারাবাংলা/জিএস/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন