বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৭ আসামির জামিন স্থগিত

May 27, 2021 | 4:19 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০০২ সালে সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার আদালত এই আদেশ দেন।

এসময় সাত আসামির জামিন স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। ৩০ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বাকি আসামিদের জামিনের ব্যাপারটিও সুরাহা হবে।

এদিকে, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ মে) শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সাত জন হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ার এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার পর ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মাগুরা ফিরছিলেন। তখন যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

সে সময় বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও ওই ঘটনায় আহত হয়। ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৫ সালে এ ঘটনায় চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রাকিবের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিলো উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়। ২০১৭ সালে ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।

২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ওই হাইকোর্টের রুল খারিজ করে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাকিব। এ আবেদনে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এরপর বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন