বিজ্ঞাপন

‘কিশোর গ্যাংয়ের হাতে অস্ত্র, আসছে সীমান্ত দিয়ে’

June 28, 2021 | 9:08 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কিশোর গ্যাংয়ের হাতে যেসব অস্ত্র আসছে, সেগুলো পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সংস্থাটি বলছে, এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধের চেয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো হয় বেশি। আবার অনেক সময় এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধও হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৮ জুন) বিকালে রাজধানীর কারওয়ান র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।

অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘অবৈধ এসব অস্ত্রের রুট আমাদের জানা নেই। কিন্তু সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র প্রবেশ করছে। একটি সিন্ডিকেট আছে, সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করছে। পরবর্তী সময়ে এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধ করার চেয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোই বড় একটি কাজ। তবে এসব অস্ত্র দিয়ে যে অপরাধ হচ্ছে না, তা নয়। এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধও করা হচ্ছে।’

এর আগে, গত ২৪ মে ঢাকার আশুলিয়ার নাল্লাপাড়া এলাকায় মসজিদের খাদেম নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় রোববার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে র‌্যাব-৪ দু’জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো— রাকিব হোসেন ও তার সহযোগী ইমন হোসেন। তাদের কাছ থেকে দ ‘টি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, একটি চাইনিজ কুড়াল, দুইটি ফোল্ডিং চাকু, চাপাতি ও ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক জানান, মসজিদের খাদেম নজরুল এক নারীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল। সেই টাকা দিতে দেরি হওয়ায় দু’জনের মধ্যে বিরোধ হয়। পরে খাদেম নজরুলকে ডেকে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নজরুল আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগের পর আদালতে মামলা করেন। মামলা দায়ের করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই নারী নজরুলকে শায়েস্তা করতে আলিম নামে একজনকে ঠিক করেন। পরে আলিম তার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দিয়ে নজরুলকে কুপিয়ে জখম করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়।

র‌্যাব সিও বলেন, অভিযুক্তরা খাদেমকে কুপিয়ে জখম করার পর আত্মগোপনে চলে যায়। কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকদিন ধরে পালিয়েও বেড়ায়। এর মধ্যে এলাকাবাসী দোষীদের গ্রেফতারে মানববন্ধন করে। সবশেষ গত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দু’জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান মোজাম্মেল হক।

বিজ্ঞাপন

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতার রাকিব ও ইমনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের কিশোর গ্যাং গ্রুপ সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় ইভটিজিং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। প্রধান অভিযুক্ত আলিমকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, কিশোর বয়স থেকেই তারা দুষ্টু ও দুরন্ত। ‘কিশোর গ্যাং’ দমনের জন্য দেশে আলাদা কোনো আইন নেই বা এ ধরনের গ্যাংয়ের আইনি কোনো সংজ্ঞাও নেই। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এসব গ্রুপে কিশোররা জড়িত থাকে বলে আমরা ‘কিশোর গ্যাং’ বলি। তাদের অনেক সঙ্গী-সাথী আছে। তারা কোনো না কোনোভাবে মাদকাসক্ত। কিশোরদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেশি কাজ করে। ফলে তাদের কাজে লাগিয়ে জমি দখল, মাদক ব্যবসা, কাউকে মারধর বা ভাড়াটিয়া মধ্যস্থতাকারী দালাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এসব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন