কঠোর বিধিনিষেধ: ৭ম দিনে গ্রেফতার ১১০২, জরিমানা ১৯ লাখ টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারি কঠোর বিধিনিষেধের ৭ম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১ হাজার ১০২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আর ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন গাড়িকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

বুধবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৪৫ জনকে ১ লাখ ৭১ হাজার ৯৮০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর বাইরে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ ৮০৪টি গাড়িকে ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

এডিসি আরও বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া এবং যত্রতত্র ঘোরাফেরার জন্য ১ হাজার ১০২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আগামীকাল সকালে আদালতে পাঠানো হবে।’

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ৪৬৭ জনকে গ্রেফতার ছাড়াও ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ ২৭ হাজার ৪৮০ টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ এক হাজার ৮৭টি গাড়ির বিপরীতে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ২৫ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এছাড়া ৫ জুলাই ৪১৩ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার ছাড়াও ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৪৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার মোট টাকার পরিমাণ ৯৮ হাজার ৪৫০ টাকা। এছাড়া ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ৫২৬টি ব্যক্তিগত ও ভাড়ায় চালিত গাড়িকে ১২ লাখ ২৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করেছে।

গত ৪ জুলাই সকাল থেকে বিকেল পর্য্ন্ত ৬১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৬১ জনকে মোট ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ৪৯৬টি গাড়ির বিপরীতে ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করে।

তৃতীয় দিন (৩ জুলাই) গ্রেফতার করা হয় ৬২১ জন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা আদায় করা হয় ৩৪৬ জনের মোট এক লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা। আর ট্রাফিক বিভাগ জরিমানা করে ১৯ লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টাকা।

দ্বিতীয় দিন (২ জুলাই) সারাদিনে ডিএমপি গ্রেফতার করে ৩২০ জনকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয় ২০৮ জনের বিপরীতে এক লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা। ট্রাফিক বিভাগ জরিমানা করে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা।

প্রথম দিন (১ জুলাই) সারাদিনে গ্রেফতার করা হয় ৫৫০ জনকে। জরিমানা করা হয় ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ জরিমানা করে প্রায় ৫ লাখ টাকা।

এদিকে গত সাত দিনে ডিএমপি যাদের গ্রেফতার করেছে তাদের নিয়মিত মামলায় আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এমনকি গ্রেফতারদের কোনো আইনজীবীও নিয়োগ দিতে হয়নি। শুধুমাত্র গ্রেফতারদের পক্ষে যেকোনো একজন গিয়ে টাকা জমা দিলেই মিলেছে মুক্তি।

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম