বিজ্ঞাপন

সায়েদাবাদে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল     

July 15, 2021 | 3:05 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ দুই সপ্তাহ পর শিথিল করেছে সরকার। কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিনেই বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চালু হয়েছে। আর এ সুযোগে ঈদে নাড়ির টানে গ্রামের দিকে হুমড়ি খেয়ে ছুটছে মানুষ। রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের ঢল দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে কথা হয় এনামুল হকের সঙ্গে। তিনি যাত্রাবাড়ীতে কাজ করতেন, যাবেন সিলেটে। কাউন্টারে এসে দেখেন মানুষের অনেক ভিড়। অনেকেই সিলেট যাওয়ার জন্য টার্মিনালে এসেছেন।

এনামুল হক বলেন, আগে টিকেটের ভাড়া ছিল ৫০০ টাকা। আর এখন ভাড়া চাচ্ছে ১২০০ টাকা। এক সিট বাদ দিয়ে নাকি নিয়ে যাবে। এজন্য দাম বেশি চাচ্ছে। তবে দাম যাই হোক না কেন বাড়িতে ফিরতেই হবে। ঈদ করে আবার ঢাকায় ফিরবেন তিনি।

সিলেটগামী পরিবহন গোল্ডেন লাইনের সুপার ভাইজার আল মামুন বলেন, এক সিট পর এক সিটে যাত্রী বসানো হচ্ছে। টিকেটও সেভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। কাউকে মাস্ক ছাড়া গাড়িতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। অসুস্থ যাত্রীদের নেওয়া হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

গাবতলী বাস টার্মিনালে কথা হয় ইদ্রীস মিয়ার সঙ্গে। তিনি যাবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ। টিকেট কেটে বসে আছেন। গাড়ি ঢুকতে পারেনি তাই কাউন্টারেই বসে আছেন তিনি।

নাবিলের কাউন্টারে বসে আছেন রবিউল আলম, যাবেন দিনাজপুর। যানজটের কারণে গাড়ি আটকে আছে আশুলিয়ায়। সেজন্য দেরি হচ্ছে। টিকেটের দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৮০০ টাকা ছিল টিকেটের দাম। দাম নিয়েছে ১২০০ টাকা। স্বাস্থ্য বিধি মেনে তারা গাড়িতে যাত্রী উঠাবেন বলে জানানো হয়েছে।

নাবিল কাউন্টারের সহকারী ম্যানেজার বোরহান উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালানো হচ্ছে। গাড়িতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

মহাখালী বাস টার্মিনালে ময়মনসিংহগামী বাসের যাত্রী আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, করোনায় মনে হয়েছিল এবার বাড়িতে যাওয়া হবে না। সরকার গাড়ি খুলে দিয়েছে তাই বাড়িতে গিয়েই ঈদ করতে চাই। টিকেটের মুল্য নিয়েছে ৫০০ টাকা। আগে ছিল ২০০ টাকা। এনা পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব যাত্রী যাতায়াত করছে বলে জানান এনার কাউন্টার ম্যানেজার রাকিব হাসান।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচালকারী পরিবহনগুলোতেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। পরিবহন শ্রমিকরা জানান, যাত্রীদের বেশিরভাগই গ্রামমুখী। ব্যাগ-বস্তা নিয়ে তারা একস্থান থেকে আরেকস্থানে ছুটছেন। যাত্রীদের বেশিরভাগই বাস টার্মিনালমুখী।

রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা গেছে, কঠোর বিধিনিষেধ চালুর আগে ঢাকার সড়কগুলোতে যেমন স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করত, আজকেও তাই। বাসগুলোতে যাত্রীদের ভিড়ও দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/এনএস

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন