বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে চামড়া নিয়ে নৈরাজ্য ঠেকাতে মাঠে থাকবে ম্যাজিস্ট্রেট

July 19, 2021 | 9:18 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আড়তদার ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে নৈরাজ্য ঠেকাতে এবার চট্টগ্রামে মাঠে নামানো হচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেটদের। সরকারের কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত এবং গত দুইবছর ধরে বিক্রির জন্য আনা চামড়া নগরীর বিভিন্ন সড়কে যত্রতত্র ফেলে যাওয়ার পর এবার প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৯ জুলাই) নগরীর টাইগার পাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অস্থায়ী ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত ‘কাঁচা চামড়ার সংরক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহনসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত মনিটরিং কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোরবানির পশুর চামড়া কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না। নগরীতে যত্রতত্র ফেলে রাখা যাবে না। মৌসুমি ব্যবসায়ী যদি চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করে যত্রতত্র ফেলে দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ঈদের দিন ও পরদিন মাঠে সক্রিয় থাকবে। পুলিশকে একই বিষয়ে কঠোর থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চসিক’র কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এবার সারাদেশে এক কোটির মতো পশু কোরবানি হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে আট থেকে ৯ লাখ পশু কোরবানি হবে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকার এবার এক কোটি বর্গফুট লোমবিহীন চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে পশু জবাইয়ের পর যেনতেনভাবে পশুর চামড়া ছাড়ানো যাবে না। আবার পশুর কান-মাথা, লেজের অবশিষ্টাংশও যেনতেনভাবে ফেলে রাখা যাবে না। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কমপক্ষে চারদিন চামড়া সংরক্ষণে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় তাদের চামড়া কিনতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

সভায় চসিক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, ‘সরকার দীর্ঘদিন পর এবার চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য চামড়া সংরক্ষণে এবার সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কার্যালয় থেকে চামড়া সংরক্ষণের প্রচারণা চালানো হয়েছে। ক্যাবল টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবেন। চামড়া ফেলে দিয়ে নষ্ট করা যাবে না।’

বিজ্ঞাপন

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলী, কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মোহাম্মদ জাবেদ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, চসিক’র সচিব খালেদ মাহমুদ, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকতা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. কামরুল আযাদ, আনসার ভিডিপির রেঞ্জ কমান্ডার রাফিউল ইসলাম, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সেতু ভুষণ দাশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. সলিম উদ্দীন, বিসিক চট্টগ্রামের উপ-মহাব্যবস্থাপক জামাল নাসের চৌধুরী ও ডিআইজ অফিসে কর্মরত এসপি মো. হাসান বারী।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন