বিজ্ঞাপন

জীবন বীমায় নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের দাবি

September 5, 2021 | 1:26 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জীবন বীমা কর্পোরেশনে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের দাবি জানিয়েছে সচেতন নাগরিক সমাজ। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

‘প্রাক্তন সদস্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বর্তমান জীবন বীমা কর্পোরেশনের এমডি জহিরুল হক গংদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবাদ, দোষীদের গ্রেফতার ও পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে’ এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, যোগ্যদের কর্মক্ষেত্র তৈরির লক্ষ্যে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সমাজে টিকে থাকার জন্য অপরাধের আশ্রয় নিতে হয় এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নিয়োগ বাণিজ্য সমাজ কাঠামোর দুর্বলতার ফল। যে কোনো মূল্যে রাষ্ট্রকে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।

বক্তারা বলেন, জীবন বীমা কর্পোরেশনে কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় ২০২০ সালে নভেম্বরে দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন ওই নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আরও ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জহুরুল হক ও তার সিন্ডিকেট এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। প্রতিষ্ঠানটির উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী এবং অফিস সহায়কের ৫১২টি পদে নিয়োগের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে অন্তত ৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা সরকারের সকল অর্জনকে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তারা বলেন, এমসিকিউ পরীক্ষার যে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তার সঙ্গেও কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহুরুল হক ও তার সিন্ডিকেট জড়িত। প্রশ্নপত্র তৈরিসহ পরীক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের। ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে এবং চুক্তি অনুযায়ী তাদের এজন্য অর্থও পরিশোধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রশ্নপত্র তৈরিও করেছিল। কিন্তু ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহুরুল হক তার তালিকার চাকরি প্রার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি কড়া শর্ত আরোপ করেন। যা সরকারের জন্য কলঙ্কজনক।

মানববন্ধন থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো— বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, প্রশ্নপত্র ফাঁসকৃত সকল পরীক্ষা বাতিল করতে হবে এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, গর্জো সভা প্রধান সৈয়দ মঈনুজ্জামান লিটু, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, অভিভাবকদের পক্ষে আনসার উদ্দিন রফিক, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ৷

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন