বিজ্ঞাপন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাস্তি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের পরামর্শ

November 4, 2021 | 4:45 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সারাদেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করাতে মিডিয়াকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এ বিষয়ে আদালতের এক রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন পরামর্শ দেন।

২০১৮ সালে কুমিল্লার বিপুলসার হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী নোমান হোসেনকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক এমদাদ হোসেন শারীরিক নির্যাতন করেন। সে ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী আব্দুল হালিম। এরপর আদালত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের দ্বারা শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ আদালত তার পর্যবেক্ষণে এমন পরামর্শ দেন।

কুমিল্লার এ ঘটনায় আদালতে পক্ষভুক্ত হয় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

বিজ্ঞাপন

আজ আদালতে ব্লাস্টের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শারমিন আক্তার। আদালতের নজরে আনয়নকারী হিসেবে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল হালিম ও জামিউল হক ফয়সাল।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি প্রদানের ঘটনা ঘটলে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা এবং শাস্তি বন্ধে এ ধরনের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং এ বিষয়গুলো গণমাধ্যমে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাস্তি বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে যে মনিটরিং কমিটি রয়েছে। তাদের কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’

তিনি বলেন, ‘এ রুলের শুনানি শেষে আদালত কিছু মতামত দিয়েছেন। সেটি হচ্ছে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের শারীরিক শারীরিক ও মানসিক শান্তি বন্ধে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের। আমাদের দেশে আইন থাকার পরেও দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, উপজেলা মনিটরিং কমিটি (যদি থাকে), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এ সব নির্যাতন অভিযোগ যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। নির্যাতনকারীদের যেন কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়। শাস্তি নিশ্চিত করা হলে সেগুলো মিডিয়ায় প্রচারের জন্যও পরামর্শ দেন আদালত। এতে করে যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।’

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে কুমিল্লার বিপুলসার হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী নোমান হোসেনকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক এমদাদ হোসেন শারীরিক নির্যাতন করেন। ঘটনাটি পত্রিকায় প্রচারিত হলে সেটি আদালতের নজরে আনা হয়। এরপর আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে পেটানো শিক্ষক এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হবে না একইসঙ্গে ওই শিক্ষার্থীকে কেন চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ আদালত এমন নির্দেশনা দেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন