আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে ব্যবস্থা নেব: অর্থমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে বাংলাদেশেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

গণমাধ্যমকর্মীদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ফেক্সিবল স্টেজে আছে। কখনো বাড়ছে, আবার কমছে। যখন স্ট্যাবল কন্ডিশনে আসবে, তখন সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে  মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বিদেশে টাকা পাচারকারীদের খোঁজে পেতে সরকারের কোনো কৌশল রয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সংসদে কথা বলার আগ থেকে আমি সুস্পষ্টভাবে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য জানাতে বলেছিলাম। সেভাবে না পেলেও পত্রপত্রিকায় কিছু নাম পেয়েছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তারা কাজ করছেন। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। আইনি প্রক্রিয়ায় যাকে যা শাস্তি দেওয়ার, তারা সেই শাস্তি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত দুই-তিন বছরে কে কত শাস্তি পেয়েছে— এগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে। একদিন আমি আপনাদের মন্ত্রণালয়ে নিমন্ত্রণ করব এবং আপনাদের কাছে এগুলো তুলে ধরব— আমরা কী ব্যবস্থা নিয়েছি এবং ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে। আমি কিন্তু কিছু ব্যবস্থা নিতে পারব না। ব্যবস্থা নেবে আমাদের আইন বিভাগের যারা আছেন তারা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি দুর্নীতি করে বা কেউ যদি অর্থ পাচার করে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর তাদের জেলে নেওয়া হয় এবং সাজা দেওয়া হয়। আদালত যেভাবে মনে করবেন, সেভাবেই বিচার ব্যবস্থা চলবে।

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বিরাজ করছে। এই ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো চিন্তা রয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো (ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে) সংক্রমিত হইনি। আগে যেভাবে করোনা দেখা দিয়েছিল, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করেছি। অর্থনীতির জন্য যা যা করণীয়, সাধ্য অনুযায়ী দেশের সব মানুষকে অনেক সাপোর্ট দিয়ে গেছি। আমার মনে হয় এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে ঘটবে না। সংক্রমণ পরিস্থিতি অতটা তীব্র নয়। আমরা এখনো জানি না কতটা তীব্র হবে। আমরা বিশ্বাস করব, আল্লার রহমতে আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না।

ফাইল ছবি

সারাবাংলা/জিএস/টিআর