বিজ্ঞাপন

পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি ৫ বিশ্বশক্তির

January 4, 2022 | 5:44 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বের ৫টি শীর্ষ সামরিক শক্তিধর দেশ। চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এছাড়া পাঁচ শক্তি বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে বলেও কথা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যেহেতু পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সুদূরপ্রসারী পরিণতি আছে তাই আমরা নিশ্চিত করছি যে, পারমাণবিক যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় না এবং এ অস্ত্র ব্যবহার করে কখনোই লড়াই করা উচিত নয়। আমরা এটাও নিশ্চিত করছি যে, পারমাণবিক অস্ত্র—যতদিন বিদ্যমান থাকবে—ততদিন এগুলো শুধু প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে, আগ্রাসন রোধে এবং যুদ্ধ বন্ধে ব্যবহার করা উচিত।’

বিবৃতিতে পাঁচ স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র বলেছে, ‘তারা একে অন্যের মধ্যে করা দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক চুক্তি, সমঝোতা, নিরস্ত্রীকরণ এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে। দেশগুলো দাবি করেছে, তাদের তৈরি কোনো পরমাণু অস্ত্র একে অপরকে বা অন্য কোনো রাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়নি।

পরমাণু শক্তিধর পাঁচ বিশ্বশক্তি পি-৫ নামে পরিচিত। তবে এ দেশগুলোর বাইরেও পরমাণু অস্ত্র অন্য দেশগুলোর হাতে রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মতো দুই বৈরী প্রতিবেশের অস্ত্রাগারের পরমাণু অস্ত্রের মজুত আছে। এছাড়া ইসরাইলের অস্ত্রাগারেও পরমাণু অস্ত্রের গোপন সংগ্রহ আছে বলে মনে করা হয়। উত্তর কোরিয়াও বেশ কয়েকবার একাধিক পরমাণু অস্ত্রবাহী ডিভাইস পরীক্ষা করেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবারের বিবৃতিটি এমন সময় এসেছে, যখন পি-৫ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। ইউরোপে আমেরিকান পারমাণবিক স্থাপনা নিয়ে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া চলছে। এদিকে ওয়াশিংটনের আইনপ্রণেতারা মস্কোকে ইউক্রেনে আক্রমণ পরিকল্পনা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। যদিও ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না— শুধু এমন একটি নিশ্চয়তা চায় তারা। আক্রমণের কোনো উদ্দেশ্য তাদের নেই। অন্যদিকে তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক তলানিতে।

ন্যাটো ও মস্কোর মধ্যকার আলোচনার পরও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইউরোপ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সরাবো না তারা। বিপরীতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছেন, রাশিয়া চাইলে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের জন্য বেলারুশের ভূমি ব্যবহার করতে পারে। অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, চীন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পরমাণু অস্ত্রের মজুত বৃদ্ধি করছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন