বিজ্ঞাপন

‘রফতানি বাণিজ্যে উৎসাহ বাড়াতেই ১৭৬ ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড’

January 20, 2022 | 8:46 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রফতানি বাণিজ্যে উৎসাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৮ সালে মনোনীত ১৭৬ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড দেওয়া হলো। বর্তমান সরকার সবসময়ই ব্যবসায়ীদের উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছে। আগামীতে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পিতবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সিআইপি(রপ্তানি) ও সিআইপি(ট্রেড)-২০১৮ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে। দেশের এ উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের অবদান অনেক। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ছাড়া দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যে সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। সবগুলোই হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কারণেই।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশকে উন্নতবিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে। এজন্য আমাদের প্রস্তুতি দরকার। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দক্ষতা বাড়াতে হবে ব্যবসা-বাণিজ্যে। দেশকে উন্নত করতে রফতানি বাড়ানোর বিকল্প নেই। রফতানি আয় বাড়াতে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

টিপু মুনশি বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে আমাদের সামনে অনেক সমস্যা, বাধাও অনেক। দক্ষতার সঙ্গে এগুলোকে অতিক্রম করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অল্পসংখ্যক পণ্য নিয়ে বিশ্ব রফতানি বাজারে ভালো করা যাবে না। এজন্য রফতানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশ আছে, যেখানে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের প্রচুর চাহিদা আছে। সেখানে আমাদের রফতানি করতে হবে। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানরে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

উল্লেখ্য, দেশের মোট ২২টি খাতের ১৮টি পণ্য এবং সেবা খাত থেকে ২০১৮ সালে মোট ১৩৮ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং একই সময়ের জন্য ৩৮ জন (পদাধিকার বলে) ব্যবসায়ী নেতাসহ (টেড্র) সর্বমোট ১৭৬ জনকে সিআইপি সম্মানে ভূষিত করা হয়। সিআইপি মনোনীত সবাই তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। এছাড়া ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার পাবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন